ওয়াশিংটন, 27 জুন: ভারতের সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ তা স্পষ্ট হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কথায় ৷ তাঁর দাবি, ভারতে ধর্মান্তরবিরোধী আইন, বিদ্বেষমূলক ভাষণ এবং সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ধর্মস্থান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷
বুধবার মার্কিন বিদেশ দফতর আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে ৷ সেখানেই এই মন্তব্য করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন ৷ ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, 2023 সালে এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সারা বিশ্বে মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত 2023 সালের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ভারতের 28টির মধ্যে দশটি রাজ্যে সমস্ত ধর্মান্তর আটকাতে আইন রয়েছে । এই রাজ্যগুলির মধ্যে কয়েকটিতে বিয়ের উদ্দেশ্যে জোর করে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হয় ৷ ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কিছু সদস্য নিজেদের হিংসা থেকে রক্ষা করার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত এবং তাদের ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতারক্ষা করার জন্য সরকারের ক্ষমতা ও ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল ৷
সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল ভারত ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আধিকারিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে এই রিপোর্ট বানিয়েছে বলে গত বছর জানিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক ৷ এবছরের রিপোর্ট নিয়ে এখনও ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷ তবে ব্লিনকেনের মন্তব্য খারিজ করে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷
কী আছে এবারের রিপোর্টে ? এবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জোর করে ধর্মান্তকরণ আটকাতে যে আইন তৈরি করা হয়েছে, সেই আইনে সংখ্যালঘুদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ৷ মিথ্য়ে মামলা দিয়েও সংখ্যালঘুদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ৷ ভারতে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেই বিষয়টিও এই মার্কিন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সংখ্যালঘুদের অনেকেই মনে করেন যে এটা আসনে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র তৈরি করার পথে প্রথম পদক্ষেপ ৷
এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অ্যামেরিকান মুসলিম কাউন্সিল ৷ ওই কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রশিদ আহমেদ জানান যে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা উচিত ব্লিনকেনের ৷