কলকাতা: অনেকের শৌচালয়ের কাজ সারতে দেরি হয়, কাজে বেরতে লেট হয়ে যায় ৷ বাথরুমে অনেকটা সময় কাটান কেউ কেউ ৷ দীর্ঘদিন এই অভ্য়াস চলতে থাকলে শারীরিক নানা সমস্যা বাসা বাঁধে ৷ তেমনই একটা সমস্যা পাইলস ৷ শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও বেড়েছে এই সমস্যা । মহিলারাও এই সমস্যায় কাবু হন ৷
পাইলস কী (What Is Piles) ?
পাইলস এমন একটি রোগ, যাতে মলদ্বারের ভিতরে ও বাইরে ফুলে যায় ৷ যে কারণে মলদ্বারের ভিতরের বা বাইরের অংশে চামড়া জমে গিয়ে আঁচিলের মতো তৈরি করে । ফলে ব্যথা-সহ রক্তপাত হয় ৷ এই সমস্যার ফলে মলত্যাগের অসুবিধে হয় ৷ এর ফলে ব্যক্তির বসতেও অসুবিধা হয় ৷ যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান হায়দরাবাদের লন্ডন গ্যাস্ট্রো কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ চন্দ্রশেখর পুলি ৷
মহিলাদের হওয়ার কারণ: চিকিৎসক বলেন, "বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে পাইলস গর্ভাবস্থায় শুরু হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় ৷ কারণ গর্ভাবস্থায় পাকস্থলিতে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তনালীর উপর চাপ বেশি থাকে । যে কারণে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় ।"
তিনি আরও বলেন, "কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এই সমস্যা আরও বাড়ে ৷ একইভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে এক জায়গায় কাজ করলেও পাইলস হতে পারে ৷ মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের অনেক সময় পাইলস হয় ।"
এছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিরা টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন, তাঁদের মধ্যেও এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে । সুতরাং, পাইলস যখন তাঁদের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে, সেটা নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো । একইভাবে যদি জানা যায় পাইলসের সমস্যা শুরু হয়েছে, তাহলে অস্ত্রোপচার ছাড়াই লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে সংশোধন করা যায় ৷ এটি দ্রুত নিরাময় সম্ভব ৷
কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত (What precautions should be taken) ?
চিকিৎসক পরামর্শ দেন, পাইলসের প্রাথমিক পর্যায়ে, কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে মহিলাদের বেশি জলপান করার পাশাপাশি কিছু খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে । আঁশ ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন । একইভাবে খোসাযুক্ত বাদাম খাদ্যের অংশ হওয়া উচিত । যদি গুরুতর কোনও সমস্যা হয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC9876604/
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷