আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালসিয়াম প্রয়োজন । এগুলি আমাদের সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে । ভিটামিন ই চুল পড়া রোধ করে । ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল করে । আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে ।
ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, "এমন পরিস্থিতিতে, আপনার শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি থাকলে (Vitamin E Rich Food) এমন কিছু খাবার এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত যাতে এর পরিমাণ ভালো থাকে ।"
আমন্ড: আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন-ই ৷ এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । ভিটামিন-ই বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ।
আভোকাডো: ভিটামিন কে এবং সি ছাড়াও অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ই পাওয়া যায় । এটি আমাদের ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য় করে । আপনি অনেক উপায়ে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । আপনি এটি স্যান্ডউইচ, স্মুদি, স্যালাডে বা সরাসরি খোসা ছাড়িয়েও খেতে পারেন । যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি থাকে তাহলে প্রতিদিন এই ফলটি খাওয়া উচিত ।
কিউই: কিউইতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ই রয়েছে । খেতেও দেখতে খুব সুস্বাদু । আপনি যদি টক ফল পছন্দ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন একটি কিউই খেতে হবে । এটি আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে । এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করবে না, ত্বকের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী ৷
পেঁপে: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় । আমরা যদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পেঁপে অন্তর্ভুক্ত করি তাহলে তা আমাদের হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় । এটি ত্বকে প্রাকৃতিক আভা দিতেও কাজ করে ।
পালং শাক: শীতের দিনে বাজারে প্রচুর পালং শাক পাওয়া যায় । এটি ভিটামিন ই এর একটি ভালো উৎস । পালং শাক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এটি ত্বক ও চুলের জন্যও আশীর্বাদের চেয়ে কম নয় । আপনি বাড়িতে অনেক উপায়ে পালং শাক তৈরি করে খেতে পারেন যেমন স্যালাড, শাকসবজি, পরোটা বা স্যুপ ৷ যা শরীরের জন্য ভীষণভাবে উপকারী ৷
ব্রকলি: ব্রকলিতে ভিটামিন ই এর পাশাপাশি ভিটামিন সি রয়েছে । এতে উপস্থিত পুষ্টি আপনার শরীরকে নানাভাবে উপকার করে । শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই এটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)