বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে ওজন বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । বিশেষ করে পেটে মেদ জমা অনেকেরই চিন্তার বিষয় । এই সমস্যাটি খারাপ খাদ্যাভ্যাস, কম শারীরিক পরিশ্রম এবং চাপযুক্ত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত । মানুষ ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ডায়েট প্ল্যান চেষ্টা করে থাকেন ৷ কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু বিশেষ শাকসবজি আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় সাহায্য করতে পারে ? এই সবজিতে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ওজন কমাতে সহায়ক । আপনিও যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে এই সবজি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না । জেনে নিন, কোন কোন সবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
পালং শাক:
পালং শাক খেলে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারেন । পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে । এছাড়াও এতে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার পাওয়া যায় । পালং শাক স্যুপ, সবজি ইত্যাদি আকারে খেতে পারেন ।
এন আই এইচ- এর তথ্য অনুযায়ী, পালং শাকে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদন ৷ এটি খেলে খিদে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ৷ ফলে পেটের বাড়তি মেদ কমানো সম্ভব ৷
গাজর: গাজর খাওয়া শুধু চোখের জন্যই ভালো নয়, এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রায়ও সহায়ক । গাজরে ক্যালোরি কম ও ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৷ তাই স্যালাড, সবজি, স্যুপ হিসাবে খেতে পারেন ৷
ফুলকপি:
ফুলকপি এমন একটি সবজি যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে । এতে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার রয়েছে যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ খিদে থেকে আটকাতে সাহায্য করে ৷ ফলে ওজন কমে । পরোটা, সবজি বা ভাতের বিকল্প হিসেবে এটি খেতে পারেন ।
ক্যাপসিকাম:
ক্যাপসিকামেও কম ক্যালোরি রয়েছে এবং এটি ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে ৷ যা আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করে । ক্যাপসিকাম আপনি নানাভাবে খেতে পারেন ৷ এটি ভাজা বা সবজি হিসেবে খাওয়া যায় ।
এন আই এইচ- এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপসিকামে রয়েছে, ক্যাপসাইসিন নামক যৌগ উপাদান ৷ এই উপাদান খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ৷ ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷
করলা:
করলা খাওয়া ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যা ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে । প্রতিদিন করলা খেলে ওজন দ্রুত কমে । আপনি এটি রস বা সবজি আকারে খেতে পারেন ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)