কলকাতা: একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাদ্য জীবনযাত্রার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এটি শুধুমাত্র সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মানসিক চাপ এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষের চুল সময়ের আগেই পাকা হতে শুরু করে । তবে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় । জেনে নিন, পাকা চুল রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ?
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডার্মাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ টেলর এই সমস্যাটি বিশ্লেষণ করেছেন । তিনি বলেন, "মেলানিনের অভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে । সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলানিন উৎপাদনকারী কোষ যা চুলের রঙ বদলাতে সাহায্য় করে ৷ যা মেলানোসাইট কমে যায় । তাই অল্প বয়সেও কিছুজনকে পাকা চুলের সমস্যায় ভুগতে হয় ৷"
এছাড়াও, ভিটামিন B12 এর অভাব, রক্তস্বল্পতা, থাইরয়েড, স্ট্রেস ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও এই সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে । "জার্নাল অফ ইনভেস্টিগেটিভ ডার্মাটোলজি (2014)" দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, মানসিক চাপ মেলানোসাইটের উৎপাদন হ্রাস করে । ফলে গবেষকরা জানান, অল্প বয়সে মানসিক চাপের কারণে চুল পাকা হতে পারে ।
তিনি জানান, শরীরে ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে ৷ শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাবে চুল পাকা হতে শুরু করে । ভিটামিন বি-এর ঘাটতি মেটাতে দুধ ও দই ছাড়াও মাছ ও ডিম খেতে পারেন । এছাড়াও আয়রন এবং জিঙ্কের অভাবের কারণেও পাকা চুল হতে শুরু করে । তাই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খান । যেমন-পালং শাক, শাক ইত্যাদি ।
এছাড়াও সময় সময় চুলে তেল মাসাজ করা ভালো । এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য় করে । চুলে মাসাজ করার জন্য নারকেল তেল, আমলা তেল ব্যবহার করতে পারেন ৷ এটি চুলের পুষ্টি যোগায় ৷ চুল পাকা কম করে ৷
তিনি আরও বলেন, "নিয়মিত তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন । এটি ভিটামিন সি সরবরাহ করে ৷ যা চুলকে পাকতে বাধা দেয় । মানসিক চাপ, স্ট্রেসের কারণে চুল পাকা হয়ে যেতে পারে ৷ এভাবে যত্ন নিলে চুল পাকা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব ৷"
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6290285/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)