হায়দরাবাদ: লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে । শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন-সহ শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। সুতরাং, লিভারের ক্ষতি করে এমন খাবার গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি ।
পরিবর্তিত জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে আমরা অনেকেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকি। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের, অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক । অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, কফি নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন তাদের স্বস্তি দিতে পারে ।
2016 সালে জার্নাল অফ হেপাটোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন তাদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) হওয়ার ঝুঁকি 22 শতাংশ কম। ইতালির মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজির সহযোগী অধ্যাপক জিয়ানফ্রাঙ্কো রেভেলি সংশ্লিষ্ট গবেষণায় অংশ নেন। তিনি বলেন, "কফি পান করলে এনএএফএলডির সমস্যা কমে যায় ও লিভারের কার্যকারিতাও উন্নত হয় । তবে বলা হয় কফি ভালো হলেও তা পরিমিতভাবে পান করাই ভালো। দিনে মাত্র 2 থেকে 3 কাপ কফি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ।"
কফি ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, পলিফেনল, ক্যাফেইন, মিথাইলক্সানথিন, লিপিড, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ বলে বলা হয় । বলা হয়ে থাকে কফি লিভারে জমে থাকা চর্বি দূর করতে সাহায্য করে ।
লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের কফির পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । যেমন-রসুন ৷ রসুন লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই সহায়ক। রসুনে প্রচুর পরিমাণে লিভার রক্ষাকারী এনজাইম রয়েছে । এর সঙ্গে বলা হয় বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাওয়া ভালো । বিশেষজ্ঞরা জানান, এগুলি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারকে সুস্থ রাখে। বলা হয়ে থাকে, এভাবে উপযুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করলে মেদের থাবা থেকে লিভারকে রক্ষা করা যায় ।
আরও পড়ুন: