ETV Bharat / health

রাগি সুপারফুড, তবে কারা খাবেন না জানেন ? - RAGI HEALTH BENEFIS

রাগি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের শরীরের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে । রাগি থেকে তৈরি খাবার শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী ।

Ragi
রাগি সুপার ফুড (Freepik)
author img

By ETV Bharat Health Team

Published : Dec 7, 2024, 9:15 AM IST

ফ্যাশন শুধুমাত্র জামাকাপড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, ব্যায়াম বা খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে । কোনও বিশেষ খাদ্য বা খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে । তেমনই একটি পুষ্টিকর খাবার হল রাগি । আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্লেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে । তবে এর উপকারিতা পেতে হলে এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে যা সবার আগে জানা দরকার ৷

রাগীর বৈশিষ্ট্য: খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিব্যা শর্মা বলেন, "রাগি এমন একটি খাবার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে । রাগি যাকে ইংরেজিতে ফিঙ্গার মিলেট বলা হয় ৷ এটি আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য় করে । এছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত ৷ তাই যাঁদের অ্যালার্জি বা অন্য কোনও কারণে গ্লুটেন-মুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁরাও এটি খেতে পারেন ।"

তিনি জানান, রাগিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন বি1, বি3, বি5 এবং বি6 এবং পলিফেনল ৷ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী । এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে ৷ তাই এটি হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে না বরং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক । রাগিতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ক্যানসার-সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ৷ এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতেও সাহায্য করে । রাগিতে উপস্থিত ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে এবং লিভারের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে । খাদ্যতালিকাগত ফাইবার ছাড়াও এতে উপস্থিত ফাইটিক অ্যাসিড এবং পলিফেনল খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।

এছাড়াও এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি রাগিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায় । বিশেষ করে শীতকালে আপনার ব্রেকফাস্টে বা অন্য কোনও খাবারে রাগি খেলে শরীরে তাপ ও ​​শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে ।

তিনি বলেন, "রাগির অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে কখনও কখনও যদি এটি খাোয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সতর্কতাগুলি যত্ন নেওয়া না হয় বা কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করতে পারে । উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, তাই যাঁদের পাথরের সমস্যা আছে বিশেষ করে কিডনিতে পাথর বা কিডনি সংক্রান্ত অন্য কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের রাগি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এছাড়াও রাগি থাইরয়েড রোগীদেরও অনেকসময় সমস্যা হতে পারে ।"

এছাড়াও তিনি জানান, শুধু তাই নয়, যেহেতু রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, তাই এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া বা ঠিকমতো রান্না না করে খাওয়ার কারণে কিছু মানুষের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে । যাঁদের অ্যাসিডিটি, পেটের আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিসের মতো সাধারণ হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের রাগি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত ।

দিব্যা শর্মা বলেন, "রাগির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তা ছাড়া রাগি সবসময় সুষম পরিমাণে এবং সঠিকভাবে খাওয়া উচিত । এছাড়াও যদি রাগি খেতে চান, তবে ধীরে ধীরে এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন ৷ যাতে আপনার শরীর এটিতে অভ্যস্ত হতে পারে ।"

রাগি থেকে তৈরি খাবার: দেখা যায় রাগি থেকে অনেক ধরণের সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায় ৷ যেমন- রুটি, পরোটা, ইডলি এবং ধোকলা রাগির আটা থেকে তৈরি করা যেতে পারে । এছাড়া রাগির হালুয়া, খির, খিচুড়ি তৈরি করাও সহজ । আপনি মাফিন, প্যানকেক, কুকিজ এবং অন্যান্য বেকিং রেসিপিগুলিতে রাগি ময়দা ব্যবহার করতে পারেন । রাগি স্যালাড, স্যুপ বা দইয়ে মিশিয়েও খাওয়া যায় ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

ফ্যাশন শুধুমাত্র জামাকাপড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, ব্যায়াম বা খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে । কোনও বিশেষ খাদ্য বা খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে । তেমনই একটি পুষ্টিকর খাবার হল রাগি । আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্লেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে । তবে এর উপকারিতা পেতে হলে এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে যা সবার আগে জানা দরকার ৷

রাগীর বৈশিষ্ট্য: খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিব্যা শর্মা বলেন, "রাগি এমন একটি খাবার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে । রাগি যাকে ইংরেজিতে ফিঙ্গার মিলেট বলা হয় ৷ এটি আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য় করে । এছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত ৷ তাই যাঁদের অ্যালার্জি বা অন্য কোনও কারণে গ্লুটেন-মুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁরাও এটি খেতে পারেন ।"

তিনি জানান, রাগিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন বি1, বি3, বি5 এবং বি6 এবং পলিফেনল ৷ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী । এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে ৷ তাই এটি হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে না বরং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক । রাগিতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ক্যানসার-সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ৷ এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতেও সাহায্য করে । রাগিতে উপস্থিত ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে এবং লিভারের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে । খাদ্যতালিকাগত ফাইবার ছাড়াও এতে উপস্থিত ফাইটিক অ্যাসিড এবং পলিফেনল খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।

এছাড়াও এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি রাগিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায় । বিশেষ করে শীতকালে আপনার ব্রেকফাস্টে বা অন্য কোনও খাবারে রাগি খেলে শরীরে তাপ ও ​​শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে ।

তিনি বলেন, "রাগির অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে কখনও কখনও যদি এটি খাোয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সতর্কতাগুলি যত্ন নেওয়া না হয় বা কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করতে পারে । উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, তাই যাঁদের পাথরের সমস্যা আছে বিশেষ করে কিডনিতে পাথর বা কিডনি সংক্রান্ত অন্য কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের রাগি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এছাড়াও রাগি থাইরয়েড রোগীদেরও অনেকসময় সমস্যা হতে পারে ।"

এছাড়াও তিনি জানান, শুধু তাই নয়, যেহেতু রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, তাই এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া বা ঠিকমতো রান্না না করে খাওয়ার কারণে কিছু মানুষের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে । যাঁদের অ্যাসিডিটি, পেটের আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিসের মতো সাধারণ হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের রাগি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত ।

দিব্যা শর্মা বলেন, "রাগির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তা ছাড়া রাগি সবসময় সুষম পরিমাণে এবং সঠিকভাবে খাওয়া উচিত । এছাড়াও যদি রাগি খেতে চান, তবে ধীরে ধীরে এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন ৷ যাতে আপনার শরীর এটিতে অভ্যস্ত হতে পারে ।"

রাগি থেকে তৈরি খাবার: দেখা যায় রাগি থেকে অনেক ধরণের সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায় ৷ যেমন- রুটি, পরোটা, ইডলি এবং ধোকলা রাগির আটা থেকে তৈরি করা যেতে পারে । এছাড়া রাগির হালুয়া, খির, খিচুড়ি তৈরি করাও সহজ । আপনি মাফিন, প্যানকেক, কুকিজ এবং অন্যান্য বেকিং রেসিপিগুলিতে রাগি ময়দা ব্যবহার করতে পারেন । রাগি স্যালাড, স্যুপ বা দইয়ে মিশিয়েও খাওয়া যায় ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.