হায়দরাবাদ: বাস্তু শাস্ত্রমতে সঠিক জিনিসপত্র সঠিক জায়গায় রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷ এতে সংসারের ইতিবাচক প্রভাবও জীবনে পড়ে ৷ এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুকুটে স্থান পায় ৷ তাই ময়ূরের পালকই জীবনে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে ৷
ময়ূরের পালক জীবনে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসে বলে মনে করেন অনেকে ৷ তবে জ্যোতিষী মতে এর কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি ৷ তা না হলে এই পালকের গুণ কিছু কাজে লাগে না ৷ জ্যোতিষী রাহুল দে ময়ূরের পালক রাখা নিয়ে কিছু নিয়মের কথা বলেছেন ৷ যাতে ম্যাজিকের মতো উপকার পাওয়া যায় বলে তিনি দাবি করেছেন ৷
তিনি বলেন, "বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখা শুভ ৷ কিন্তু কোথায় রাখা দরকার তা জানা প্রয়োজন ৷ বাস্তুগত যদি কোনও সমস্যা লেগে থাকে এবং বাড়িতে যদি প্রচুর নেগেটিভিট এনার্জি থাকে, তাহলে বাড়ির প্রধান দরজার উপরে একজোড়া ময়ূরের পালক রেখে দেওয়া ভালো ৷ এতে বাস্তুগত দোষ কেটে যাবে, জীবনে উন্নতি হবে ৷"
এছাড়াও যদি অর্থনৈতিক কোনও সমস্যা থাকে তাহলে কী করা যাবে ? এর জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে একজোড়া ময়ূরের পালক নিবেদন করা দরকার ৷ এর 40 দিন পর সেই ময়ূরের পালক এনে ক্যাশবাক্স বা নিজের পার্সে রেখে দিন ৷ দেখবেন, আপনার টাকার অভাব হবে না, বলছেন জ্যোতিষী ৷
টাকাপয়সা রোজগার হচ্ছে দু'হাতে, কিন্তু সঞ্চয় সেভাবে হচ্ছে না ৷ সব টাকাই কোনও না কোনও দিক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ক্যাশবাক্সে বা টাকা রাখার জায়গায় ময়ূরের পালক রেখে দিতে হবে ৷ এতে খুব ভালো উপকার পাওয়া যাবে, পরামর্শ জ্যোতিষী রাহুল দে'র ৷
শুধু টাকা রাখার জায়গাই নয়, যে বাড়িতে বাচ্চারা একদম পড়াশোনা করছে না, সেখানেও উপায় হতে পারে এই ময়ূরের পালক ৷ বাড়ির পড়ুয়াদের বইয়ের পাতার মধ্যে বা পড়াশোনার জায়গায় একজোড়া ময়ূর পালক রেখে দেখুন ৷ জ্যোতিষী বলছেন, এতে হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে ৷ পড়াশোনাতেও মন দেবে বাড়ির খুদেরা ৷
আর্থিক সঞ্চয়, পড়ুয়াদের মনোযোগের পর মানুষের জীবনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দামি ময়ূরের পালক ৷ এখানে জ্যোতিষ জানাচ্ছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও সমস্যা থাকলে বা পরিবারিক অশান্তি আছে, এরকম ক্ষেত্রে নিজেদের শোওয়ার ঘরে একজোড়া ময়ূরের পালক রেখে দিতে পারেন ৷ এছাড়াও যদি কোনও গ্রহ দোষ থাকে, তাহলে বিছানার নীচে ময়ূরের পালক রেখে দিতে হবে ৷ এতে দাম্পত্য জীবন থেকে শুরু করে নিজের জীবেনর সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে ৷
(এই মতামত সম্পূর্ণ জ্যোতিষীর ৷ বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের সিদ্ধান্ত পাঠকের নিজস্ব )