হায়দরাবাদ: মে মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রীষ্মের তাপও বেড়ে গিয়েছে । এই গরমে তাপপ্রবাহের কারণে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি ৷ বিশেষ করে এই সময় খাবার ও পানীয়ের দিকে নজর দেওয়া দরকার ৷ তবে এইসময় খাবারের থেকে পানীয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ৷ এই সময় শরীরকে ভীষণভাবে ডিটক্স রাখা প্রয়োজন ৷ কারণ এই সময় শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ অনেক সময় রোদ-গরম থেকে আসার পর কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ৷ বিভিন্ন পানীয়ের ফলে শরীরকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ (Nutritionist advised to stay healthy as a result of various drinks) ৷
তিনি বলেন, কোল্ড ড্রিঙ্ক বা প্রিজার্ভ ফ্রুট জুস যার মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে সুগার ও অনেক প্রিজারভেটিভ থাকে যা খাওয়া একদমই উচিত নয় ৷ বা চা কফি বেশি পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ৷ এর পরিবর্তে বাইরে বেরোলে ছাতুর সরবত বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া দরকার ৷ এছাড়াও বাইরে গেলে এক লিটার জলে এক টুকরো লেবু, বেসিল সিড মিশিয়ে এই জল নিয়ে যাওয়া যায় ৷ যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য় করে ৷ এছাড়াও বাড়ি থেকে ফেরার পর যারা নন-ডায়াবেটিক তারা তালমিছরি ভিজিয়ে রাখা জল পান করতে পারেন ৷ এই জলে একটু জিরে গুড়ো, একটু মৌরি গুড়ো ও চিয়া সিড দিয়ে এই মিশ্রণ অফিস থেকে ফিরে বা স্কুল থেকে ফিরে যদি কেউ খায় তা শরীরের জন্য ভীষণভাবে উপকার ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য় করবে ৷
তাছাড়া ডাবের জল, আখের রস এগুলি তো আছেই ৷ তবে যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের ডাবের জল খাওয়া ঠিক হবে না ৷ এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাঁরা আখের রস খেতে পারবেন না ৷ এছাড়াও অনেক দোকানে বিভিন্ন ফলের জুস পাওয়া যায় ৷ তা বরফ ও চিনি ছাড়া পান করা যেতে পারে ৷ তবে অনেকে গরম থেকে এসে বাজারজাত গ্লুকোন ডি পান করেন ৷ তিনি বলেন, এগুলিও সবার জন্য খাওয়া ঠিক নয় ৷ খেলেও তা পরিমাণমতো খাওয়ার পরামর্শ দেন ৷
আরও পড়ুন: