বয়ঃসন্ধিকালে শরীর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় । এই সময়ের মধ্যে, হাড় শক্তিশালী হয়, পেশী বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে । এই পরিবর্তনগুলি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে শরীরে তাদের জন্য প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন । এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হল প্রোটিন, যা শরীরের পেশীকে শক্তিশালী ও মেরামত করতে সাহায্য করে । শরীর সুস্থ রাখতে, কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত ৷ যা আপনি সহজেই অনেক খাবার থেকে পেতে পারেন । জেনে নিন, কোন কোন খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় ।
চিকেন, মটন এবং মাছ: চিকেন, মটন এবং মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস ৷ যা কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে । এই জিনিসগুলি কেবল পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সহায়ক নয় ৷ শক্তির স্তরও বজায় রাখে । 100 গ্রাম চিকেনে প্রায় 27 গ্রাম এবং 100 গ্রাম মাছে প্রায় 22 গ্রাম প্রোটিন থাকে ।
সয়াবিন: নিরামিষ এবং আমিষভোজী উভয়ের জন্যই সয়া চাঙ্কস একটি চমৎকার প্রোটিন বিকল্প । এগুলি বিভিন্ন খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে । সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের বৃদ্ধি এবং পেশী গঠনের জন্য অপরিহার্য ।
সবুজ মটর এবং মুসুর ডাল: সবুজ মটর এবং মসুর ডাল প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি চমৎকার উৎস । এগুলি উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের দুর্দান্ত বিকল্প । পুষ্টিবিদ জানান, 100 গ্রাম ডালে প্রায় 9 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় এবং 100 গ্রাম মটরশুটিতে প্রায় 5 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় ।
পনির: পনির প্রোটিনের একটি ভালো উৎস । এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে । 100 গ্রাম পনিরে প্রায় 14 গ্রাম প্রোটিন থাকে এবং 100 গ্রাম মোজারেলা পনিরে প্রায় 28 গ্রাম প্রোটিন থাকে ।
দই এবং ডিম: দই এবং ডিম প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ । এই খাদ্য উপাদানগুলি শক্তিশালী হাড়, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য ।
ড্রাই ফ্রুট: কাজু, পেস্তা, বাদাম এবং আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুট প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস । এগুলি কেবল পেশী তৈরিতে সহায়ক নয় বরং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে । 100 গ্রাম পেস্তায় প্রায় 20 গ্রাম প্রোটিন থাকে ৷ বাদামে প্রায় 21 গ্রাম এবং আখরোটে প্রায় 15 গ্রাম প্রোটিন থাকে ।
ফল ও শাকসবজি: ফল ও শাকসজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ৷ ফলে মাশরুম, পালংশাক ও নানা রকম সিজেনাল সবজি খাওয়া জরুরি ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)