শীতের সন্ধ্যা হোক বা সকাল গরম গরম স্যুপ খেতে বেশ ভালোই লাগে ৷ সেটা যদি টমেটো স্যুপ হয় আর তো কথাই নয় ৷ অনেকে টমেটো খেতে পছন্দ না করলেও স্যুপ ভালোই পছন্দ করেন ৷ শীতে সদ্য বাজারে আসা টমেটো দিয়ে স্যুপ বেশ সুস্বাদু ৷ টমেটো ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর । এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে পারে । অতএব, এটি বলা হয় এইগুলি প্রতিদিনের খাদ্যের অংশ হওয়া উচিত । 'আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন'-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, টমেটো অনেকগুণে উপকারী ৷ এছাড়াও এন আই এইচ-এর তথ্য অনুযায়ী, টমেটো নিয়মিত খেলে সিএনসিডির ঝুঁকি কম হয় ৷ এছাড়াও ফাইটোকেমিক্যালের মিথস্ক্রিয়া যা প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে ৷
শীতের সন্ধ্যায় কীভাবে বানাবেন টমেটো স্যুপ ?
উপাদান:
পেঁয়াজ: 1টি (ছোট করে কাটা)
টমেটো: 5-6টি (মাঝারি আকারের)
রসুন: 2-3 লবঙ্গ (কুচিকরে কাটা)
আদা: 1 ইঞ্চি (কুঁচানো)
তেল: 2-3 চামচ
জিরে: 1-2 চা চামচ
দারুচিনি: একটি ছোট
লবঙ্গ: 2 থেকে 3 টি
তেজপাতা: 1টি
হলুদ গুঁড়ো: 1 চা চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
গোল মরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
জল: 2 কাপ
ক্রিম বা দই: 1/2 কাপ
পনির বা ক্রিম ক্র্যাকার: গার্নিশের জন্য
পদ্ধতি: টমেটো ধুয়ে কেটে নিতে হবে । পেঁয়াজ, রসুন ও আদা কুচি করে কেটে নিতে হবে । এবার একটি প্যানে তেল গরম করে জিরে ফোরন দিন । তারপর পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা দিয়ে হালকা লাল করে ভাজুন । দারুচিনি, লবঙ্গ এবং তেজপাতা যোগ করে হালকা নাড়াচাড়া করুন । এবার হলুদ গুঁড়ো এবং লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন ৷ কাটা টমেটো যোগ করে ভালোকরে নাড়াচাড়া করতে থাকুন । এরপর ঢাকা দিয়ে 5 থেকে 10 মিনিট রেখে দিন । রান্না করা মিশ্রণটিকে গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন ৷ এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মিক্সারে পেষ্ট করে নিন ৷ এরপর আবার প্যানে ঢেলে হালকা জল যোগ করে ফুটতে দিন ৷ ফুটে উঠলে নুন ও গোলমরিচ যোগ করুন ৷ এবার আপনি চাইলে এতে ক্রিম বা দই যোগ করতো পারেন ৷ এবার অল্প বাটার যোগ করে চিজ বা পনির গ্রেড করে গরম গরম পরিবেশন করুন ৷ এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকরও ৷ এছাড়াও এটি আপনি সন্ধ্যের স্ন্যাক্সে খেতে পারেন ৷ এটি ওজন কমাতেও সাহায্য় করবে ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)