কলকাতা: শরীরের পাশাপাশি মানুষ তাদের ওজন বৃদ্ধি নিয়েও চিন্তিত । এই ঋতুতে আমরা প্রায়শই বেশি ক্ষুধার্ত অনুভব করি, যার কারণে আমরা সারাদিন কিছু না কিছু খেতে থাকি । এছাড়াও কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে হজম ঠিকমতো হয় না এবং এরফলে ওজনও বাড়তে থাকে । এমন পরিস্থিতিতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে ।
পুষ্টিবিদ রাখি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লেবু জল এই প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি, যা অনেক মানুষ ওজন কমানোর জন্য তাদের রুটিনের একটি অংশ করে তোলে । খালি পেটে মধু লেবু জল পান করা ওজন কমানোর একটি ভালো সমাধান । ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা খুব কম মানুষই জানে । জেনে নিন, খালি পেটে মধু লেবু জল পানের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে ৷"
খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে: কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে খালি পেটে মধু লেবু জল পান করলে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । এই কারণে, আপনি সারাদিন অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে যেতে পারেন ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
হজম উন্নতি করে: লেবু জল হজমের এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে । এটি পুষ্টির আরও ভালো শোষণের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং সম্ভাব্য ওজন ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে পারে ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: মধুর গ্লাইসেমিক সূচক চিনির তুলনায় কম । এমন পরিস্থিতিতে সীমিত পরিমাণে লেবু জলের সঙ্গে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । মধু ও লেবু একসঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে । এটি সম্ভাব্যভাবে চিনিযুক্ত খাবারের লোভ কমাতে পারে ।
মেটাবলিজম রেট বাড়ায়: মধু এবং লেবুর সংমিশ্রণ আপনার বিপাকীয় হার বাড়াতে সাহায্য় করে ৷ যা সারাদিনে আরও ভালো ক্যালোরি পোড়াতে পারে ।
হাইড্রেটেড রাখে: ওজন কমাতে হাইড্রেটেড থাকা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এমন পরিস্থিতিতে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে মধু লেবু জল অন্তর্ভুক্ত করে একটি সহজ এবং সুস্বাদু উপায়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে পারেন । শরীরে জলের পুনঃপূরণ আপনাকে খিদে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে: লেবু জল একটি দুর্দান্ত ডিটক্সিফিকেশন পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে ৷ একটি স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো ।
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4910284/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)