ETV Bharat / health

বাড়ির রান্নায় অতিরিক্ত নুন বা চিনি হতে পারে ক্ষতিকর, জানাল ICMR - Food Guidelines For ICMR - FOOD GUIDELINES FOR ICMR

ICMR Guidelines: ICMR সতর্ক করেছে উচ্চমাত্রার চর্বি, চিনি বা লবণযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ সেগুলি বেশিরভাগ ক্যালোরি-ঘন এবং কম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার থাকে ।

ICMR Guidelines News
বেশি নুন বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবারও অস্বাস্থ্যকর হতে পারে (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 30, 2024, 1:09 PM IST

Updated : May 30, 2024, 4:11 PM IST

হায়দরাবাদ: নোনতা আর মিষ্টি এই দুই স্বাদ ছাড়া খাবার পানসে হয়ে যায়। নুন বা চিনি মাত্রাতিরিক্ত খেলেই বিপদ । পরিমিত পরিমাণে নুন বা চিনি স্বাদ আর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। বেশি নুন খেলে যেমন রক্তচাপ বাড়ায় তেমনি চিনির পরিমাণ বেশি হলে সুগার বেড়ে যায়। নুনের সোডিয়াম ক্লোরাইড ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে তোলে । রক্তচাপ বাড়লে হার্ট, কিডনি ও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

চিকিৎসকেরা নুন ও চিনি খাওয়ার মাত্রার উপর লাগাম টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি চিনি ও নুন দুইই শরীরের জন্য ক্ষতিকর ৷ চর্বি যুক্ত খাবার বেশি চিনি বা নুন দিয়ে বাড়িতে তৈরি খাবারও বাইরের মতো অস্বাস্থ্যকর হতে পারে ৷ সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)৷

চর্বিযুক্ত খাবারে চিনি বা নুন (HFSS) বেশি ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কারণ সেগুলি বেশিরভাগ ক্যালোরি থাকে এবং কম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার থাকে । নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব খাবারে চর্বি ও চিনি বেশি থাকে সেগুলিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা স্থূলতার অন্যতম কারণ হতে পারে । নির্দেশিকা অনুসারে, এটি স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে পরে না ৷ কারণ এই খাবারগুলিতে অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (অ্যামিনো অ্যাসিড এবং চর্বি), ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং জৈব-সক্রিয় পদার্থ সরবরাহ হয়ে থাকে ৷

"চর্বিযুক্ত খাবার বেশি চিনি যোগ করা হয়ে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে পাশাপাশি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটাকে প্রভাবিত করে ৷ এই সব খাবার এনসিডি-র ঝুঁকি বাড়ায় । বেশি নুনযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায় এবং কিডনির ক্ষতি করে । আইসিএমআর নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি অ্যানিমিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ৷ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যহত করতে পারে ৷

খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন:

পরামর্শ হিসাবে আরও বলা হয়েছে শরীরের ওজন তৈরির জন্য প্রোটিন পরিপূরকের পাশাপাশি নুন খাওয়া সীমিত করা উচিত ৷ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চিনি ও অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন(NIN), শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থার অধীনে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সংশোধিত 'ভারতীয়দের জন্য খাদ্যতালিকার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

এটিতে আরও বলা হয়েছে, চিনি মোট শক্তির গ্রহণের 5 শতাংশের কম হওয়া উচিত ৷ একটি সুষম খাদ্য সিরিয়াল, বাজরা থেকে 45 শতাংশের বেশি ক্যালোরি এবং ডাল, মটরশুটি ও মাংস থেকে 15 শতাংশ পর্যন্ত ক্যালোরি সরবরাহ করা উচিত নয় । নির্দেশিকাগুলিতে আরও বলা হয়েছে, বাকি ক্যালোরি বাদাম, শাকসবজি, ফল এবং দুধ থেকে থেকে পাওয়া যায় ৷ তা এই খাবারগুলি নিয়মিতভাবে খাওয়া প্রয়োজন। চর্বি থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের মোট শক্তির 30 শতাংশ কম বা সমান হওয়া উচিত।

হায়দরাবাদ: নোনতা আর মিষ্টি এই দুই স্বাদ ছাড়া খাবার পানসে হয়ে যায়। নুন বা চিনি মাত্রাতিরিক্ত খেলেই বিপদ । পরিমিত পরিমাণে নুন বা চিনি স্বাদ আর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। বেশি নুন খেলে যেমন রক্তচাপ বাড়ায় তেমনি চিনির পরিমাণ বেশি হলে সুগার বেড়ে যায়। নুনের সোডিয়াম ক্লোরাইড ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে তোলে । রক্তচাপ বাড়লে হার্ট, কিডনি ও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

চিকিৎসকেরা নুন ও চিনি খাওয়ার মাত্রার উপর লাগাম টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি চিনি ও নুন দুইই শরীরের জন্য ক্ষতিকর ৷ চর্বি যুক্ত খাবার বেশি চিনি বা নুন দিয়ে বাড়িতে তৈরি খাবারও বাইরের মতো অস্বাস্থ্যকর হতে পারে ৷ সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)৷

চর্বিযুক্ত খাবারে চিনি বা নুন (HFSS) বেশি ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কারণ সেগুলি বেশিরভাগ ক্যালোরি থাকে এবং কম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার থাকে । নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব খাবারে চর্বি ও চিনি বেশি থাকে সেগুলিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা স্থূলতার অন্যতম কারণ হতে পারে । নির্দেশিকা অনুসারে, এটি স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে পরে না ৷ কারণ এই খাবারগুলিতে অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (অ্যামিনো অ্যাসিড এবং চর্বি), ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং জৈব-সক্রিয় পদার্থ সরবরাহ হয়ে থাকে ৷

"চর্বিযুক্ত খাবার বেশি চিনি যোগ করা হয়ে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে পাশাপাশি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটাকে প্রভাবিত করে ৷ এই সব খাবার এনসিডি-র ঝুঁকি বাড়ায় । বেশি নুনযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায় এবং কিডনির ক্ষতি করে । আইসিএমআর নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি অ্যানিমিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ৷ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যহত করতে পারে ৷

খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন:

পরামর্শ হিসাবে আরও বলা হয়েছে শরীরের ওজন তৈরির জন্য প্রোটিন পরিপূরকের পাশাপাশি নুন খাওয়া সীমিত করা উচিত ৷ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চিনি ও অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন(NIN), শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থার অধীনে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সংশোধিত 'ভারতীয়দের জন্য খাদ্যতালিকার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

এটিতে আরও বলা হয়েছে, চিনি মোট শক্তির গ্রহণের 5 শতাংশের কম হওয়া উচিত ৷ একটি সুষম খাদ্য সিরিয়াল, বাজরা থেকে 45 শতাংশের বেশি ক্যালোরি এবং ডাল, মটরশুটি ও মাংস থেকে 15 শতাংশ পর্যন্ত ক্যালোরি সরবরাহ করা উচিত নয় । নির্দেশিকাগুলিতে আরও বলা হয়েছে, বাকি ক্যালোরি বাদাম, শাকসবজি, ফল এবং দুধ থেকে থেকে পাওয়া যায় ৷ তা এই খাবারগুলি নিয়মিতভাবে খাওয়া প্রয়োজন। চর্বি থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের মোট শক্তির 30 শতাংশ কম বা সমান হওয়া উচিত।

Last Updated : May 30, 2024, 4:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.