কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: 2003 সালে মুক্তি পায় গৌতম হালদারের 'ভাল থেকো' ৷ 21 বছর পর সেই ছবি আবারও দেখানো হল 30তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৷ শিশির মঞ্চে দেখানো হয় এই ছবি ৷ উৎসবে হাজির ছিলেন গল্পের নায়িকা আনন্দী অর্থাৎ বিদ্যা বালান।
বিদ্যার পরনে ছিল 'ভাল থেকো' সিনেমা রিলিজের সময়ে দেওয়া গৌতম হালদার ও তাঁর স্ত্রী চৈতী হালদারের দেওয়া লাল-কালো কম্বিনেশনের শাড়ি। শুরুতেই তাঁকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদ্যা। অভিনেত্রী বলেন, "21 বছর আগের কথা মনে পড়ছে। আবার এত বছর পর প্রিমিয়ার হচ্ছে কলকাতায়। এটা আমার অনেক বড় পাওয়া।" এই কথা বলতে বলতে চোখ ভিজে আসে বিদ্যার।
বিদ্যা এদিন জীবনের প্রথম ফিচার ফিল্ম 'ভাল থেকো'-তে অভিনয়ে সুযোগ পাওয়ার গল্পও তুলে ধরেন কথোপকথনের সময়ে। প্রদীপ সরকারের বিজ্ঞাপনে কাজ করতে এসেই ভাগ্য যায় ঘুরে যায় বিদ্যার। ফোন যায় গৌতম হালদারের কাছ থেকে। বিদ্যা বলেন, "গৌতম আমাকে প্রথম ফোন করেন। আমার প্রথম ছবি 'ভাল থেকো'। উনিই আমাকে শেখান কীভাবে 'ভিদ্যা' নয়, 'বিদ্যা' বলতে হবে। আমাকে ছবির গল্পটা বলেন।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "আনন্দীর চরিত্রটা বোঝান গৌতম দা। আমার প্রথম শট ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। উনি আমার জ্যাঠামশাইয়ের চরিত্রে। গৌতম দা আমাকে বলেন 'জেঠু' বলে ডাকতে হবে ওঁকে ৷ দারুণ অভিজ্ঞতা যেমন ছিল তেমনই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার সময়ে আমার ভয়ও লাগছিল। কিন্তু গৌতম দা'র বিশ্বাস ছিল সবাই সব পারবে। আমিও পেরেছিলাম।"
বিদ্যা আরও বলেন, "আমি মন থেকে বাঙালি। আমি বাংলার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার জীবনে অনেক বাঙালির প্রভাব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলার সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করতে চাই আমি। বাংলা ছবিতেও কাজ করতে চাই। কিন্তু গত এক বছরে ভালো কোনও চরিত্রের অফার আসেনি। কিন্তু এলে তো করবই।"
বিদ্যার রোল মডেলের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমার রোল মডেল অনেকে। মাধুরী দীক্ষিত, শাবানা আজমি, শ্রীদেবী, টাবু, রেখা, মীনা কুমারী এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়।" বিদ্যা এদিন বাঙালি দর্শকের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন," এখানকার মানুষ সব ধরনের ছবি দেখতে ভালোবাসে এরকমটা দেখা যায় না।"