কলকাতা, 30 জুলাই: খুশির খবর টলিপাড়ায়। রাহুলের উপর থেকে উঠে গেল শাস্তির 'বোঝা'। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচালক হিসেবে পুজোর ছবির শুটিং শুরু করবেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। একইভাবে আগামিকাল থেকেই শুরু হবে টলিপাড়ায় ফ্লোরের শুটিং। মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় আয়ত্তে এল পরিস্থিতি ৷ গোটা বিষয়টি ইংরেজিতে পড়ে শোনান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
- আজ, মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করেন গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপর টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োতে সান্ধ্যকালীন সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, আগামিকাল, বুধবার থেকে শুরু হবে শুটিং। রাহুল এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু করবে তাঁর পুজোর ছবির শুটিং।"
- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এরা-ওরা বলে কোনও কথা নেই। আসলে 'আমরা'। অভিনেতা, টেকনিশিয়ান, পরিচালক, প্রযোজকদের মধ্যে বাড়ির বউরাও ঢুকতে পারে না। সুতরাং যেটা করব সবটাই ইন্ডাস্ট্রির ভালোর জন্যই করব।"
- কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "যে যে নিয়মগুলি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, সেগুলো পেশাদার লোকের দ্বারা স্কুটিনাইজড হবে। কমিটিতে থাকবেন সমস্ত গিল্ডের লোক ও পেশাদার ব্য়ক্তিরা । যারা আইন ও প্রশাসনিক দিকটা বোঝেন এবং টেকনিক্যাল দিকটা জানেন। তাঁরা একটি রুল বুক বানিয়ে দেবেন ৷ যেটা সবাই খুশি মনে মেনে চলবেন ৷ এই কমিটিতে সব গিল্ডের লোক থাকবেন। শুধু ডিরেক্টরস গিল্ড নয়, বাকি পঁচিশটা গিল্ডেরও উপকার হবে এতে।"
- সুদেষ্ণা রায় বলেন, "25টি গিল্ডের উপকার হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই আলোচনার পর। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি আমাদের সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন। উনি বেশকিছু নিয়ম যেগুলি এতকাল ধরে চলে আসছে তার সংশোধনের কথা বলেছেন।"
- দেব বলেন, "আমাদের এই লড়াইটা শুধু ডিরেক্টরদের জন্যই ছিল না, সবার জন্য ছিল। এরপর থেকে কোনও শিল্পী, টেকনিশিয়ান, পরিচালক কারোকে ব্যান করা যাবে না ৷ বাইরে থেকে শুট করতে এলে চার গুণ টাকা দিয়ে শুট করতে হবে ৷ এই নিয়মটা এবার বদলাতে হবে।' দেব আরও বলেন, "কীসের জন্য শুটিং হচ্ছে, সেটাও দেখার বিষয়। সেই অনুযায়ী টাকা বরাদ্দ করতে হবে ।"
- এরপর ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক ৷ তাঁর কথা আমরা মেনে চলব। বাকি যে সব নিয়ম সংশোধনের কথা বলা হয়েছে, সেই ব্যাপারে আমাদের ইসি কমিটিতে মিটিং হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
সম্প্রতি পরিচালক রাহুলকে ব্যান করে দেওয়া নিয়ে সমস্যা শুরু হয় ৷ সোমবার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে একটি বৈঠক করেছিলেন পরিচালকদের একাংশ। কীভাবে খুব দ্রুত সকলকে নিয়ে কাজে ফেরা যায়, সেই নিয়েই আলোচনাও হয়। তবে কাটছিল না জট ৷ তারপরই মঙ্গলবার প্রসেনজিতরা নবান্নে যান। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটায় খুশি দু'পক্ষই।