কলকাতা, 28 অগস্ট: আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ৷ বুধবার অর্থাৎ আজ 12 ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ 27 অগস্ট নবান্ন অভিযান ঘিরে শহরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তার সমস্ত দায়ভার কার্যত পুলিশের উপর চাপিয়ে বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই বনধ সর্বতোভাবে ব্যর্থ করার নির্দেশ রাজ্য সরকারের ৷ একটি ভিডিয়ো বার্তায় বনধ ব্যর্থ করার ডাক দিয়েছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী ঘোষ।
তিনি বলেন, "ছাত্র সমাজের রূপ ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি ও তাদের কিছু শাখা সংগঠন শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপির ছোট থেকে বড় সব নেতাই ছিল নবান্ন অভিযানে। শুধু ছাত্ররাই ছিল না। তারা পুলিশদের উপর চড়াও হয়। পুলিশ ঠান্ডা মাথায় গোটা বিষয়টা সামলেছে। সব আন্দোলনের একটা গরিমা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন।"
সায়নী আরও বলেন, "ডাক্তারদের এতদিনের আন্দোলনের গরিমা, সাধারণ মানুষের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের গরিমা, সুশীল সমাজের আন্দোলনের গরিমা সবকিছুকে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী নবান্ন অভিযানের মাধ্যমে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ৷ কয়েকদিন ধরে একটা আন্দোলন হচ্ছিল। সেই আন্দোলন থেকে হয়ত সমগ্র ভারতবর্ষে একটা পরিবর্তন আসতে পারত। আমি আশাবাদী আগামীতে সেই পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এই গুন্ডাবাহিনী, এই হুলিগানরা, এই ভারতীয় জনতা পার্টি তারা একটা মুভমেন্টকে পলিটিক্যালি হাইজ্যাক করে নোংরা রাজনীতি করছে। এই বনধ তারই আরেকটি নমুনা। "
তিনি বলেন, "আমি সকলকে বলব ভয় পাবেন না। পুলিশ প্রশাসন আপনার পাশে থাকবে। তারা দায়বদ্ধ। কিন্তু আপনারা বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না। এরা বিকৃতভাবে বাংলাকে সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে দেখাতে চাইছে। অত্যন্ত কঠিন সময়। আমরাও বিচার চাই। একজন মেয়ে হিসেবে বিচার চাই, একজন সাংসদ হিসেবে বিচার চাই, একজন রাজ্যবাসী হিসেবে বিচার চাই। শুধু বাংলার জন্য নয়, সারা দেশের জন্য বিচার চাই। আমরা নির্ভয়ারও বিচার চাই, অভয়ারও বিচার চাই। মণিপুরের বিচার চাই, বদলাপুরের বিচার চাই।"