কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, জীবনচেতনা নিয়ে ছবি বানাতে চলেছেন 'অসুখওয়ালা'র পরিচালক পলাশ দে। মূল ভাবনা এবং চিত্রনাট্যের দায়িত্বে পরিচালক স্বয়ং। প্রযোজনায় অঞ্জন বসু ও অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন। ছবির নাম 'ওস্তাদ' (এ জার্নি উইথ রবি ইন্দ্র নাথ ঠাকুর)।
'ওস্তাদ'-এ রবি ঠাকুরের চার বয়সের চারটি কাহিনী তুলে ধরা হবে ৷ মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন গম্ভীরা ভট্টাচার্য, রণজয় বিষ্ণু, শঙ্কর দেবনাথ ও দেবেশ রায় চৌধুরী। ছবিতে অন্যান্য মুখ্যচরিত্রে রয়েছেন স্নেহা বিশ্বাস, অমৃতা মুখোপাধ্যায়, শুভজিৎ বক্সী, চিত্রাঙ্গদা সমাদ্দার প্রমুখ। প্রযোজক অঞ্জন বসু জানান, "অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রথম থেকেই উদ্ভাবনী ভাবনার পৃষ্ঠপোষক। পলাশের এই কাহিনি বর্তমানে বাংলা ছবির জন্য খুব যুগোপযোগী মনে হয়েছে আমার। তবে বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশী চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবির অভিযানের পর সাধারণ মানুষের কাছে বড় পর্দায় এই ছবি আনব বলেই সিদ্বান্ত নিয়েছি আমি। আশা করি এই ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাজীবনের প্রতি একটা সুযোগ্য সম্মান হিসেবে দর্শক-সমালোচক মহলে স্থান করে নিতে পারবে।"
পরিচালক পলাশ বলেন, "প্রথমত জানাই ওস্তাদ আমার প্রথম উপন্যাস। যখন উপন্যাস আকারে এই কাহিনি বিন্যাস করি তখন থেকেই আমার মনে হত রবি-ইন্দ্র-নাথ-ঠাকুর এই নামটির মধ্যে একই সত্ত্বায় যেন বহু মানুষের অবস্থান। তারা বিভিন্ন বয়সের মানুষ, তাদের চেতনায় বিভিন্ন স্বত্তা উজ্জ্বল। যখন ছবি হিসেবে এই কাহিনিকে নিয়ে ভাবনা শুরু তখন থেকেই ভেবেছিলাম, বর্তমানের আঙ্গিকে চারজন অভিনেতাকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দর্শকের সামনে পরিবেশন করব আমি।"
তিনি আরও বলেন, "অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন ও অঞ্জন বসুকে ধন্যবাদ যে আমার এই ভাবনার উপর তিনি বিশ্বাস রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ এত বিবিধ ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ, কখনও তিনি প্রকৃতির পূজারী, কখনও প্রাণের তপস্যায় মগ্ন, কখনও আবার তিনি শিল্পী, কখনও সমাজ ও শিক্ষার আঙিনায় সকলকে আনার জন্য বিপুল উৎসাহী ৷ তার মাঝে কত স্বপ্ন, তার জীবন ও চেতনা বর্ণময় ৷ অথচ তার কাহিনি নিয়ে সেলুলয়েডে বার বার কথা হলেও, তার এই জীবন নিয়ে বাংলা ভাষায় কাজ একটু কম। সেই ক্ষেত্র থেকেই এই ছবি করতে আসা। আশা করি দর্শকদের প্রত্যাশার যোগ্য সম্মান দিতে পারব এই ছবির মধ্যে দিয়ে।"
ছবির কাহিনির কেন্দ্রে রবি, ইন্দ্র, নাথ ও ঠাকুর নামের চারটি চরিত্র। রবির জীবনের লক্ষ্য এক বিশ্ব পাঠশালা গড়ে তোলা। ইন্দ্র কবিতা ও গান লেখে। সুর দেয়। ডিটিপি করে। একটু ক্ষ্যাপাটে প্রকৃতির সে। প্রকৃতির সঙ্গেই বেশি বন্ধুত্ব তাঁর। গাছ-নদী-পাখির সঙ্গে সে কথা বলে, আড্ডা দেয়। নাথ সেলসম্যান। পোকামাকড় না-মেরেও কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটাই প্রচার করে । ঠাকুর শিল্পী। পৃথিবী বিখ্যাত ছবি আঁকিয়ে। শেষ বয়সে এসে সিদ্ধান্তে পৌঁছোয় যে শিল্প বদলাতে পারেনি মানুষের হিংসা। এরা চারজনই বিভিন্ন ভাবে এবং কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চার অংশ। চারজনের এই গল্পে বেঁধে আছে মৃণালিনী, কাদম্বরী, বিশু, নন্দিনী এবং ভানুসিংহ নামের চরিত্রগুলি। কী হয় শেষ পর্যন্ত? সেই গল্পই শোনাতে চলেছে এই ছবি। ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অমর দত্ত, ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। সম্পাদনা করেছেন পরিচালক পলাশ দে এবং অমর দত্ত।
আরও পড়ুন:
1. 'দাদাগিরি'তে সৌরভকে কিপটে বলল কে! দেখা যাবে আজকের পর্বে
2. দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চ মাতালেন মমতা, অন্যরূপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
3. সত্যজিৎ-পৌত্র সৌরদীপের বিয়ে, নতুন বউমাকে নিয়ে খুশি ললিতা রায়