হায়দরাবাদ, 5 অগস্ট: শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রাজপথে প্রতিবাদী যুবসমাজ ৷ শাসকদল ও পুলিশের সঙ্গে সম্মুখ সমরে ছড়েছে একাধিক আন্দোলনকারীর রক্ত ৷ দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে সন্ত্রাস থামানোর কাতর আর্জি পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ৷ সোমবার সোশাল মিডিয়ায় তিনি দীর্ঘ পোস্টে শুভ বুদ্ধির উদয়ের বার্তা দিয়েছেন ৷
তিনি লেখেন, "এরকম দীর্ঘ এবং ভারী রাত আসেনি বাংলাদেশের বুকে। আমি চিন্তিত। চিন্তিত এই প্রজন্মের সাহসী ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে যাঁরা বাংলাদেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে একটা গণতান্ত্রিক সমাজের দিকে এগিয়ে নিতে চায়। গোটা জাতি এইসব অচেনা ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে কেন জানেন? কারন তাঁরাও গোপনে এটাই চাইছিল। ফলে এইসব মুক্তি সেনার নিরাপত্তা আমাকে কালকে রাতে ঘুমাতে দেয়নি ৷ আমাকে ঘুমাতে দেয়নি সরকার সমর্থকদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তাও। কোনও নৈরাজ্য আমাদেরকে ভালো কোথাও নিয়ে যাবে না। বাংলাদেশকে একটা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হলে এরচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কিছু হবে না।"
ফারুকী আরও লেখেন, "সরকার যেটা করতে পারে সেইফেস্ট এগ্জিট রুট নিয়ে একটা ইনটেরিম বডি’র কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। আর আন্দোলনরত ছাত্র নেতৃত্ব যেটা করতে পারে, এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া মাত্র সবাইকে আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে শান্তিপূর্ণ কিন্তু সজাগ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো। সকল প্রকার প্রতিশোধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে স্পষ্ট আহ্বান জানানো। মিলিটারির উচিত সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে প্রো-অ্যাকটিভ রোল নেওয়া ৷ যাতে সব মত-পথ-ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তারপর ইনটেরিম সরকার সমাজের সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বসে 'কমপ্লিট রিফর্মের' কাজে হাত দেওয়া, যাতে বাংলাদেশ আর কখনও এই রকম দুঃশাসনের কবলে না পড়ে।"
এরপর পরিচালক লেখেন, "এর বাইরে কি অন্য কোনো সমাধানের পথ আছে? হয়তো আছে যেটা আমার মাথায় আসছে না। আমি শুধু আশা নিয়ে তাকিয়ে আছি ৷ আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ব যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, লুটপাট থাকবে না, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, আমাদের চিন্তা সেন্সর করবে না কেউ। এই মুহূর্তে একটাই প্রার্থনা- শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। "
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার ইস্যুতে নতুন করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে ৷ শনিবার রাত থেকে ফের আন্দোলনকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ৷ এই সংঘর্ষে রবিবার রাত পর্যন্ত কমপক্ষে 91 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় পদ্মাপাড়ের দেশে ভারতীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক ৷