কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: নাট্যশিল্পী গৌতম হালদারকে নিয়ে এই মুহূর্তে বেজায় ব্যস্ত নেটপাড়া। ট্রোলের মুখে পড়েও রাগ নয় বরং তাতে বেশ খুশি তিনি। তাঁকে যে এত মানুষ ভালোবাসেন সেটা ভেবেই আত্মতৃপ্তি হচ্ছে বলে ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন নাট্যশিল্পী ৷
শিল্পীকে কেন ট্রোল...
সম্প্রতি গৌতম হালদার এসেছিলেন জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো সারেগামাপা-এর মঞ্চে। সেখানে তিনি জয় গোস্বামীর লেখা 'বেণীমাধব' কবিতাটি একেবারে নিজের ছন্দে, সুরে, তালে এবং ভঙ্গিমায় পাঠ করে শোনান সকলকে। তাঁর সেই পারফরমেন্সের ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। যার জেরে রায় দিতেও দেরি করেনি নেট আদালত। কেউ বলছেন "দুর্দান্ত নিবেদন ৷" কেউ বা লিখছেন, "বেণীমাধব এর চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে দিয়েছে ৷ এত নিকৃষ্টতম একটা পরিবেশনা, এনাকে কি করে সবাই ভালো নাট্যকার বলে কে জানে... জঘন্য।"
গৌতম হালদারের প্রতিক্রিয়া...
আবার নতুন ধরনের উপস্থাপনায় শিল্পীর গুণের কদর করেছেন কেউ কেউ ৷ নেটিজেনদের কীর্তিকলাপ দেখে কী ভাবছেন নাট্যশিল্পী? ইটিভি ভারতের তরফে এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুরুতেই এক গাল হেসে বলেন, "এত মানুষ যে আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে ফলো করেন আমি জানতাম না। ভালোবাসে জানতাম। তবে এত মানুষ! জানতাম না। আমি নিন্দেটা নিচ্ছি না। ভালোবাসাটাই নিলাম। এরকম চলতেই থাকে। চলবে। আমার ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, "যে গানটার সঙ্গে সারেগামাপা একটা কবিতা বলতে বলেছিল আমার মনে হয়েছিল এই কবিতাটা বলা যাবে। তাই বলেছিলাম।" প্রতিযোগী রুনা হুসেন এদিনের গেয়েছিলেন আশা ভোঁসলের গাওয়া 'মেরা কুছ সামান' গানটি। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গৌতম হালদার পরিবেশন করেন জয় গোস্বামীর 'বেণীমাধব'। দুটির মধ্যেই রয়েছে ভালোবাসা দিয়ে তা ফেরত না পাওয়ার কাহিনি। সেই কারণেই 'বেণীমাধব' বেছে নেওয়া তা মঞ্চেই জানান গৌতম হালদার। কিন্তু তাঁর পরিবেশনাকে যথেচ্ছ সমালোচনা করা হয় সামাজিক মাধ্যমে ৷ তবে খ্যাতনামা নাট্যকার বলছেন "যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।"