কলকাতা, 29 জানুয়ারি: আজকের ইউটিউব, ফেসবুকের দুনিয়াতেও মাথা উঁচু করে সসম্মানে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা থিয়েটার। আজও টিকিট কেটে নাটক দেখতে মানুষ পৌঁছে যান তপন থিয়েটারে কখনও বা স্টার থিয়েটারে ৷ এর আগে সারা রাত নাটক হয়েছে, এমন উদাহরণও আছে। কিন্তু একটানা 24 ঘণ্টা নাটক আয়োজনের দৃষ্টান্ত তৈরি করল কলকাতার মিউনাস নাট্যদল ৷
তপন থিয়েটারে কলকাতার মিউনাস নাট্যদলের আয়োজনে 27 জানুয়ারি সন্ধে 6টা থেকে 28 জানুয়ারি সন্ধে 6টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টানা 24 ঘণ্টার নাট্যোৎসব। এমন অভিনব নাট্যোৎসব সম্ভবত ভারতের বুকে এই প্রথম। 24 বছর বয়সি নাট্যদল 'মিউনাস'-এর টানা 24 ঘণ্টার এই নাট্যোৎসব এবার নবম বর্ষে পদার্পণ করল। চলতি বছরে মহিলা পরিচালক নির্মিত 25টি নাটক নিয়ে অনুষ্ঠিত হল মিউনাসের নাট্যোৎসব। যার সামগ্রিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন উৎসব দাস।
বলতে দ্বিধা নেই, যে সব নাট্যকারদের নাটককে অবলম্বন করে তৈরি হয় নাট্য প্রযোজনা, প্রায় সময়ে তাঁরাই থেকে যান প্রচারের আড়ালে। তাদের নাম প্রকাশ্যে কমই আসে। তাই এই নাট্যোৎসবে যে সমস্ত নাট্যকারদের নাটক মঞ্চস্থ হল তাঁদের সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। 27 জানুয়ারি দুপুর আড়াইটেতে তপন থিয়েটারে বসেছিল নাট্যকারদের আড্ডা। সঞ্চালনায় ছিলেন শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ। মিউনাস নাট্যদলের কর্ণধার উৎসব দাসের কথায়, "এই নাট্যোৎসব ঠিক আর পাঁচটা নাট্যোৎসবের মতো নয়। আমাদের এই নাট্যদল 24 বছরের। নাট্যদলগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ভাবনা থেকেই আমরা টানা 24 ঘণ্টা নাট্যোৎসব শুরু করেছিলাম।"
তিনি আরও বলেন, "যাতে করে একটা পুরো দিন আমরা থিয়েটারের সঙ্গে যাপন করতে পারি। 365 দিনের মধ্যে একদিন আমরা থিয়েটারকে ঘুমোতে দেব না এবং থিয়েটারের সঙ্গে আমরাও জেগে থাকব। মানুষজন এই উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এটাই আমাদের প্রাপ্তি।"
আরও পড়ুন: