হায়দরাবাদ, 31 মার্চ: বিমা পলিসিগুলিকে ডিজিটালাইজ করা বাধ্যতামূলক করল ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই) ৷ এর মানে হল, এখন থেকে সমস্ত বিমা কোম্পানিকে ইলেকট্রনিক আকারে (ই-বিমা) পলিসি প্রদান করতে হবে। এই শর্তাবলী জীবন, স্বাস্থ্য এবং সাধারণ-সহ সমস্ত বিমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । এই নিয়মগুলি নতুন আর্থিক বছর অর্থাৎ সোমবার 1 এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে ।
ই-বিমা কী?
আপনাকে ই-বিমা অ্যাকাউন্ট (ইআইএ) নামে একটি অনলাইন অ্যাকাউন্টে ইলেকট্রনিকভাবে নেওয়া বিমা পলিসিগুলি সংরক্ষণ করতে হবে । এই অ্যাকাউন্টের সাহায্যে পলিসিধারীরা অনলাইনে বিমা প্ল্যান অ্যাক্সেস করতে পারবেন । অর্থাৎ ই-বিমার কারণে পলিসি পরিচালনা আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে । বর্তমানে দেশে বেশিরভাগ মানুষ বিমা পলিসি নিতে আগ্রহী হচ্ছে । সেজন্য আইআরডিএআই বিমা পলিসি পরিচালনাকে আরও সহজতর করতে চায় । সেই জন্য এই নয়া পদক্ষেপ ৷
বিমার হার্ড কপি প্রয়োজন?
গ্রাহকরা যদি চান তাহলে তারা বিমার হার্ড কপি হাতে পেতে পারেন । আপনি যখন একটি বিমা পলিসি নেবেন, তখন বিমা কোম্পানিকে আপনাকে হার্ড কপি প্রদান করতে বলতে পারেন । অথবা আপনি পরেও এ বিষয়ে কোম্পানিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ৷
কীভাবে ই-বিমা অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
আপনি বিমা সংগ্রহস্থল (ইন্সুরেন্স রিপজেটরি পোর্টাল) থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে একটি ই-বিমা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন । এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে । বিমা সংস্থাগুলি 35 থেকে 40 টাকা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খোলার ফি নেয় ৷ এর জন্য আপনাকে একটি আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং সম্পূর্ণ ই-কেওয়াইসি জমা দিতে হবে ৷
বিমা ডিজিটালাইজেশনের সুবিধাগুলি কী কী?
- সমস্ত বিমা পলিসি ডিজিটালাইজ করলে সহজে ই-বিমা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এগুলি অ্যাক্সেস করা যেতে পারে । এটি সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থা ৷ ফলে এক্ষেত্রে আপনার বিমা সংক্রান্ত নথি হারানোর কোনAও সুযোগ নেই । তাছাড়া বিমার নথিগুলি খুব সহজেই ডাউনলোড করা যায় । সেগুলি আপনি সুরক্ষিতভাবে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন ৷
- হার্ড কপির তুলনায় ডিজিটাল নথি হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি খুবই কম । বিশেষ করে ডিজিটালাইজেশনের কারণে আমরা সহজেই বিমা পলিসির বিবরণ এবং পুনর্নবীকরণের তারিখগুলি ট্র্যাক করতে পারি । ঠিকানা পরিবর্তন বা পলিসিতে বিশদ আপডেট করা ই-বিমা দিয়ে খুব সহজেই করা যেতে পারে ।
- পলিসিধারীর মৃত্যু হলে তাঁর বা পরিবারের সদস্যদের নথি খুঁজতে হবে না । সরাসরি বিমা সংস্থায় গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যেতে পারে । এছাড়াও, পলিসি ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গে বিমা কোম্পানি এবং পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে । ফলস্বরূপ, ক্লেম সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়া দ্রুত এবং আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে ।
আরও পড়ুন: