ঋষিকেশ, 11 জুন: ঋষিকেশে উজ্জয়িনী এক্সপ্রেসের বগিতে প্লাস্টিক ব্যাগে উদ্ধার মহিলার কাটা হাত ও পা। আরপিএফ এবং জিআরপি বিষয়টি তদন্ত করছে। ট্রেনটি ইন্দোর থেকে ঋষিকেশে আসে বলে জানা গিয়েছে ৷ ঋষিকেশের রেল পুলিশের তরফে ইন্দোর পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। ইন্দোর রেলস্টেশনে গত শনিবার উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার কয়েকভাগে বিভক্ত দেহ ৷ মনে করা হচ্ছে, ইন্দোরে উদ্ধার দেহের অংশ এগুলি ৷ ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে 5টা নাগাদ যোগনগরী ঋষিকেশে পৌঁছয় উজ্জয়িনী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি স্টেশনের ওয়াশিং লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেন পরিদর্শনের সময় এস-1 এবং এস-1 কোচের মধ্যে শৌচালয়ের কাছে একটি সন্দেহজনক প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয় । সেই ব্যাগ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরপিএফ ঋষিকেশের সাব ইন্সপেক্টর গায়ত্রী দেবী এবং জিআরপি ঋষিকেশের সাব ইন্সপেক্টর আনন্দ গিরি। পরবর্তীতে প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে মানুষের দু'টি হাত ও দু'টি পা উদ্ধার হয়।
রেল পুলিশের অনুমান, এই হাত ও পা এক মহিলার। দেরাদুনের জিআরপি থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এস রানা বলেছেন, "ঋষিকেশে ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলার দেহের অংশগুলি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে । ইন্দোর রেলওয়ে স্টেশনে অন্যান্য দেহাবশেষ উদ্ধারের তথ্য পাওয়ার পর ইন্দোর রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, শনিবার রাত 12টা'র দিকে ইন্দোর রেলস্টেশনে ট্রেন পরিষ্কারের সময় ইঞ্জিনের পেছনে দ্বিতীয় বগিতে পৌঁছন ঝাড়ুদার। সেখানে পরিষ্কার করার সময় বার্থের নীচে ঝাড়ু আটকে যায় তাঁর। তিনি উঁকি দিয়ে দেখেন নীচে একটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। ট্রলি ব্যাগে কোনও তালা ছিল না। সেটি খুলে দেখা যায় একটি মেয়ের ধড়। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপিকে খবর দেন সুইপার। রেল পুলিশ এসে ব্যাগটি খুললে ভিতরে কোমরের নীচের অংশ ও কাটা হাতও পাওয়া যায় । রবিবার সকালে এমওয়াই হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় ।