নয়াদিল্লি, 29 এপ্রিল: সন্দেশখালি মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, সাধারণ কয়েকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষায় কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ?
সন্দেশখালিতে মহিলাদের নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগে 10 এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে, সোমবার ছিল তার শুনানি ৷ এ দিন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চের প্রশ্ন, "সাধারণ কয়েকজনের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য রাজ্যকে কেন আবেদনকারী হিসাবে আসতে হল ?" রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী বলেন যে, হাইকোর্টের নির্দেশের কিছু মন্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ সরকার । তাঁর কথায়, "আদালত রাজ্য সরকার সম্পর্কে মন্তব্য রয়েছে এবং এটি অন্যায়, কারণ রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা নিয়েছে ৷"
রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত শীর্ষ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুরুতে বলেন যে, তাঁদের কাছে কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে যা তাঁরা পেশ করতে চান । সেই কারণে সিবিআই কয়েক সপ্তাহ পরে মামলার হস্তান্তর নিতে পারে ৷
সর্বোচ্চ আদালতে করা আবেদনে রাজ্য সরকার বলেছে যে, হাইকোর্টের নির্দেশ পুলিশ বাহিনী-সহ রাজ্যের সমগ্র সিস্টেমকে হতাশ করেছে । আবেদনে বলা হয়, "হাইকোর্ট একটি খুব সাধারণ আদেশে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই সিবিআইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে, যা সন্দেশখালি এলাকায় যে কোনও অপরাধ, জনস্বার্থ মামলাকারীদের অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পর্ক যদি নাও থাকে, তার তদন্ত করার জন্য রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা হরণ করার সমান ৷"
সিবিআই ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের উপর হামলার মামলার তদন্ত করছে এবং 5 জানুয়ারির ঘটনায় তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে । তদন্তটি আদালতের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে উল্লেখ করে, হাইকোর্ট সিবিআইকে রাজস্ব রেকর্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে এবং কৃষিজমিকে মৎস্য চাষের জন্য জলাশয়ে অবৈধ রূপান্তরের অভিযোগের বিষয়ে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ।
হাইকোর্ট সিবিআইকে সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ও জমি দখলের অভিযোগে তদন্ত করার এবং শুনানির পরবর্তী তারিখে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে । সেই নির্দেশে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট ৷ সন্দেশখালি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী জুলাই মাসে হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ ততদিন সিবিআই তদন্তে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি শীর্ষ আদালতের তরফে ৷ (পিটিআই)
আরও পড়ুন: