অমৃতসর, 5 ফেব্রুয়ারি: আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে প্রথম বিমান নামল ভারতে ৷ 104 জন ভারতীয়কে নিয়ে বুধবার দুপুর 1টা 55 মিনিট নাগাদ অমৃতসরের শ্রী গুরু রামদাসজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে মার্কিন সামরিক বিমান ৷ C-17 গ্লোবমাস্টার বিমানটি মঙ্গলবার টেক্সাসের সান আন্তোনিও থেকে ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে রওনা দিয়েছিল ৷
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তারপর এদিন প্রথম দফায় দেশে ফিরলেন আমেরিকায় অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীরা ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই সুত্রের খবর, 104 জনের মধ্যে 30 জন পঞ্জাবের, 33 জন করে হরিয়ানা ও গুজরাতের ৷ এছাড়া মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের 3 জন এবং 2 জন চণ্ডীগড়ের ৷ এরা সকলেই বেআইনিভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ ৷
এই বিষয়ে নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার জানান, ওয়াশিংটন অভিবাসন আইন কঠোর করছে এবং আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরতে পাঠাচ্ছে । 12 থেকে 13 ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটনে সম্ভাব্য সফরে দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করার মধ্যেই এই পদক্ষেপ করা হতে পারে । যদিও আমেরিকার এই পদক্ষেপ সম্পর্কে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সরকারি বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উত্তর আমেরিকার পঞ্জাবি অ্যসোসিয়েশন (NAPA) বুধবার পঞ্জাব সরকারকে এই অবৈধ মার্কিন অভিবাসীদের জন্য পুনর্বাসন তহবিল তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ৷ সেখানে NAPA-র নির্বাহী পরিচালক সতনাম সিং চাহাল বলেন, "আমেরিকা থেকে বিতাড়িত পঞ্জাবিদের সহায়তা করা রাজ্যের জন্য একটি গুরুতর সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে ৷ এই সংকট মোকাবিলা না করলে তা রাজ্যের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করবে ৷ বেকারত্ব, মানসিক সমস্যা ও অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনা বাড়বে ৷ এই তরুণদের অনেকেই উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু অভিবাসন চ্যালেঞ্জের কারণে তারা আজ বিতাড়িত । তারা আর্থিক দুর্দশা এবং মানসিক আঘাত নিয়ে ফিরে যাচ্ছে । তাদের যথাযথ পুনর্বাসন এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব ৷"
তিনি আরও বলেন, "এটি কেবল একজন ব্যক্তির সমস্যা নয়, বরং একটি সামাজিক সমস্যা ৷ আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হই, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে ৷ কেবল তরুণদের জন্য নয়, বরং পঞ্জাবের সামাজিক কাঠামো এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য তা ভয়ঙ্কর হবে ৷"