লখনউ, 4 ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা ৷ মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ওই ব্যক্তিকে মেরঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের একাধিক গোপন তথ্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের একাধিক তথ্য, সেনা-জওয়ান সম্পর্কিত একাধিক গোপন তথ্য সে তুলে দিত আইএসআই-এর হাতে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং ভারতীয় সামরিক সংস্থার তরফ থেকে রবিবার এক বিবৃতিতে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে ৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম সত্যেন্দ্র সিওয়াল ৷ বাবার নাম জয়বীর সিং ৷ উত্তরপ্রদেশের হাপুর থানার অন্তর্গত শাহ মহিউদ্দিনপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত ৷ বিদেশমন্ত্রকে কর্মরত সিওয়াল বর্তমানে মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ছিল ৷
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটিএস একাধিক জায়গা থেকে গোপন সূত্রে খবর পায় যে, দৃতাবাসে কাজের আড়ালে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে তথ্য প্রদান করছে সে ৷ ফলত ভারতের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে ৷ অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনী সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শত্রুদেশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল বলে খবর আসে ভারতীয় চরেদের কাছে ৷ এরপরেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপরে চলে নজরদারি ৷ খতিয়ে দেখা হতে থাকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারও ৷ এরপরেই ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে সিওয়াল যে যুক্ত, তার প্রমাণ আসে হাতেনাতে ৷ অর্থের লোভেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক এবং ভারতীয় সামরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আইএসআই হ্যান্ডেলারদের হাতে সিওয়াল নাকি তুলে দিচ্ছিল ৷
ইতিমধ্যেই সিওয়ালকে মেরঠের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসে নিয়ম অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে ৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত একাধিক প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি সে ৷ পাশাপাশি, নিজের দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র সিওয়াল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ 2021 সাল থেকে রাশিয়ার মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে ইন্ডিয়া বেসড সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্ট হিসাবে কর্মরত ছিলে সত্যেন্দ্র ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 121এ (ভারত বিরোধী কার্যকলাপ) ও অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট 1923 অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
1. বাদায়ুতে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মহিলা বিচারকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
2. উলফার জঙ্গিনেতাদের যৌনতার ফাঁদে ফেলতে অসমের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, দাবি ভিডিয়োবার্তায়
3. নাবালিকা গণধর্ষণে দোষীদের 90 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল পকসো আদালত