শিলিগুড়ি, 20 মে: লাগামছাড়া গাড়ি ভাড়া । নেই পর্যাপ্ত পর্যটনের পরিকাঠামো । একাধিক অভিযোগ তুলে সিকিম পর্যটনকে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে পর্যটনমহলে ।
তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ের দিকে ছুটছেন পর্যটকরা । সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে বুকিং । সামনে আবার গরমের ছুটি । দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং - সব জায়গাতেই একই অবস্থা । এই অবস্থায় সিকিম পর্যটনকে সতর্ক করল পর্যটন মন্ত্রক ।
গত 13 মে সেন্ট্রাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেমের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিকিম সরকারকে । একাধিক পর্যটকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে । চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে, এক কেন্দ্রীয় আধিকারিকের সিকিম ভ্রমণ নিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতার কথা । পারমিট এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঘোরানোর নামে ট্রাভেল এজেন্সিগুলি পর্যটকদের লুট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । অবিলম্বে এ বিষয়ে সিকিম পর্যটন দফতরকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন কমিশনার কেপি ওয়াসনিক 27 এপ্রিল থেকে 5 মে সপরিবারে দার্জিলিং ও সিকিম ভ্রমণে গিয়েছিলেন । সিকিম থেকে ঘুরে আসার পরই তাঁর অভিযোগ ও ক্ষোভ কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানান তিনি । অভিযোগ, গাড়ির দর আকাশছোঁয়া, ভাড়ার নামে পর্যটকদের লুট করা হচ্ছে । কোনও সুনির্দিষ্ট রেটচার্ট নেই । প্রশাসনের উচিত পদক্ষেপ করা ।
একই অভিযোগের সুর অবশ্য পর্যটন সংস্থার গলাতেও । হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড টুর ডেপলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "সিকিমের বিশেষ কিছু পর্যটন কেন্দ্রতে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে । বিশেষ করে জুলুক, নাথুলা এ সব জায়গায় যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে পর্যটকদের কাছে দাবি করা হচ্ছে । এই সমস্যা দীর্ঘদিনের । পর্যটনের মরশুম এলে সিকিমের গাড়িচালকরা যথেচ্ছ ভাবে ভাড়া আদায় করেন ।"
আরও পড়ুন: