পুরী, 1 নভেম্বর: নতুন বছরের শুরুতেই জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের যাবতীয় গয়না গোনার প্রস্তুতি শুরু হতে চলেছে ৷ পাশাপাশি ভল্টের কাঠামোর একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের (ধন ভাণ্ডার) মধ্যে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই ৷ এই সুড়ঙ্গ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুজব ছিল ৷
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জগন্নাথ মন্দির রত্নভাণ্ডারের মধ্যে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ বা কক্ষ নেই। নতুন বছর থেকে মহাপ্রভুর রত্ন গোনার কাজ শুরু হবে। সরকার সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানা গিয়েছে। গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার (জিপিআর) সমীক্ষা রিপোর্ট শীঘ্রই আসবে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে ভিতরে একটি ফাটল তৈরি হয়েছে। সেটির শীঘ্রই মেরামতি প্রয়োজন।
মন্দির চত্বরে হওয়া সর্বশেষ GPR সমীক্ষায় গোপন চেম্বার বা গোপন সম্পদের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক গবেষণায় ভল্টে ছোটখাটো ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ যদিও আধিকারিকদের মতে এগুলোর ফলে মন্দিরের কাঠামোর কোনও বড় ক্ষতি হবে না ৷ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) কার্তিক পূর্ণিমার উৎসব শেষ হওয়ার পরে ভল্টের প্রয়োজনীয় মেরামত শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ কার্তিক মাসে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত মন্দিরে আসেন ৷
আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন নিশ্চিত করেছেন, একবার এএসআই কাঠামোগত মেরামত সম্পন্ন করলে তারপর রত্নভাণ্ডারে সংরক্ষিত গয়নাগুলির বিস্তারিত গণনা এবং মূল্যায়ন শুরু হবে। 2024 সালের প্রথম দিকে নির্ধারিত এই কাজের লক্ষ্য মন্দিরের মূল্যবান সম্পদ এরং তার নথিপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কার্তিক মাস শেষ হলেই কাজ শুরু হতে পারে কারণ বছরের এই সময়ে ভক্তরা প্রচুর সংখ্যক মন্দিরে ভিড় করেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ এএসআই কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করছে ৷ মেরামত ও তালিকার কাজের সময়সূচি এবং পরিকল্পনা করার জন্য আলোচনাও হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।