নয়াদিল্লি, 16 মে: ‘সমনে সাড়া দিয়ে কোনও অভিযুক্ত হাজিরা দিলে, তাঁকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ঠ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ৷’ ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতায় রাশ টেনে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ লোকসভা ভোটের মাঝেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘গ্রেফতারি’র ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা দিল বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ৷
এদিন দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় জানিয়েছে, বেআইনি আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত আইনের (পিএমএলএ) 19 নম্বর ধারায় কোনও অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে গেলে, সংশ্লিষ্ঠ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ইডি’কে ৷ বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জল ভুঁইয়ার বেঞ্চ বলে, ‘‘একজন অভিযুক্ত সমন অনুযায়ী আদালতে হাজির হলে, তাঁর হেফাজত পেতে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে ।’’
একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, "অভিযুক্ত সমন অনুযায়ী আদালতে হাজির হলে, তাঁদের জামিনের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই ৷ একইভাবে পিএমএলএর ধারা 45 এর জোড়া শর্ত প্রযোজ্য নয় ।’’ অর্থাৎ তদন্তের সময় গ্রেফতার না-হওয়া অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে, ইডি অফিসাররা পিএমএলএ’র 19 ধারার অধীনে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তাঁদের বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন না ৷
19 নম্বর ধারা বলে যে ইডি অফিসাররা একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই পারেন ৷ যদি তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ কারণ থাকে যে ওই ব্যক্তি আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দোষী ।
আরও পড়ুন: