ETV Bharat / bharat

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে প্রথম শুনানি, টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট চাইল আদালত - RG KAR SUPREME COURT HEARING

আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে প্রথম শুনানি ছিল মঙ্গলবার ৷

RG Kar Incident Hearing in Supreme Court
সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের ঘটনার অষ্টম শুনানি (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 10, 2024, 4:20 PM IST

Updated : Dec 10, 2024, 7:40 PM IST

নয়াদিল্লি, 10 ডিসেম্বর: শীর্ষ আদালত গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স-এর (এনটিএফ) কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতিরা ৷ এদিন থেকে 12 সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় টাস্ক ফোর্স সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ ৷

গত 10 নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তিনি আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিলেন ৷ তাঁর পর দেশের প্রধান বিচারপতি হন সঞ্জীব খান্না ৷ মঙ্গলবার তাঁর বেঞ্চে আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার প্রথম বার শুনানি হল ৷ সব মিলিয়ে শীর্ষ আদালতে এটা অষ্টম শুনানি ৷ পরবর্তী শুনানি 17 মার্চ হতে পারে ৷ এরই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানায়, কোনও পক্ষের যদি মনে হয় বিচারে দেরি হচ্ছে তাহলে তারা দ্রুত শুনানির আবেদন করতে পারে ৷

এর আগে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ 22 অগস্টের শুনানিতে একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে ৷ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে 10 সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ এনটিএফ-এর নেতৃত্বে রয়েছেন সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরপি সারিন ৷ এই কমিটি হাসপাতালে নারী-পুরুষ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে জাতীয় স্তরে একটি প্রোটোকল তৈরি করবে ৷ তাঁদের কাজের সুযোগ-সুবিধার দিকটিও থাকবে প্রোটোকলের মধ্যে ৷

এর আগে 7 নভেম্বর মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জমা দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছে, এনটিএফ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা রুখতে পৃথক কোনও আইনের প্রয়োজন নেই ৷ প্যানেল জানায়, রাজ্যের আইনে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে প্রতিদিনের ছোটখাটো হেনস্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে ৷ এছাড়া গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে 2023 সালের ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে ৷ এনটিএফ জানিয়েছে, 24টি রাজ্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনার মোকাবিলায় আইন প্রণয়ন করেছে ৷

এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এনটিএফ-এর কাছ থেকে 12 সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট চেয়েছে ৷ পাশাপাশি, এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষ লিঙ্গভেদে হিংসার ঘটনা প্রতিরোধ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তাজনিত প্রোটোকল বিষয়ে তাদের মতামত জাতীয় টাস্ক ফোর্সকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷

অষ্টম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানতে চায়, নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার কোন পর্যায়ে রয়েছে ? উত্তরে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের তরফে প্রবীণ আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার জানান, বিচার চলছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আশা করছে যে, আগামী সপ্তাহে বিচার পর্ব শেষ হবে ৷ গত 11 নভেম্বর কলকাতার শিয়ালদা আদালতে শুরু হয় আরজি করের নির্যাতিতার মামলার শুনানি ৷ এদিন পেশ করা হয় এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে

এর আগে গত 7 নভেম্বর দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয় ৷ সেদিন আরজি করের তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া বাংলার বাইরে স্থানান্তরিত করার আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ গত 9 অগস্ট আরজি করের চারতলায় সেমিনার রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় হাসপাতালেরই স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের দেহ ৷ অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৷ এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা-সহ গোটা দেশ ৷

নয়াদিল্লি, 10 ডিসেম্বর: শীর্ষ আদালত গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স-এর (এনটিএফ) কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতিরা ৷ এদিন থেকে 12 সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় টাস্ক ফোর্স সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ ৷

গত 10 নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তিনি আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিলেন ৷ তাঁর পর দেশের প্রধান বিচারপতি হন সঞ্জীব খান্না ৷ মঙ্গলবার তাঁর বেঞ্চে আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার প্রথম বার শুনানি হল ৷ সব মিলিয়ে শীর্ষ আদালতে এটা অষ্টম শুনানি ৷ পরবর্তী শুনানি 17 মার্চ হতে পারে ৷ এরই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানায়, কোনও পক্ষের যদি মনে হয় বিচারে দেরি হচ্ছে তাহলে তারা দ্রুত শুনানির আবেদন করতে পারে ৷

এর আগে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ 22 অগস্টের শুনানিতে একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে ৷ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে 10 সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ এনটিএফ-এর নেতৃত্বে রয়েছেন সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরপি সারিন ৷ এই কমিটি হাসপাতালে নারী-পুরুষ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে জাতীয় স্তরে একটি প্রোটোকল তৈরি করবে ৷ তাঁদের কাজের সুযোগ-সুবিধার দিকটিও থাকবে প্রোটোকলের মধ্যে ৷

এর আগে 7 নভেম্বর মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জমা দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছে, এনটিএফ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা রুখতে পৃথক কোনও আইনের প্রয়োজন নেই ৷ প্যানেল জানায়, রাজ্যের আইনে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে প্রতিদিনের ছোটখাটো হেনস্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে ৷ এছাড়া গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে 2023 সালের ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে ৷ এনটিএফ জানিয়েছে, 24টি রাজ্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনার মোকাবিলায় আইন প্রণয়ন করেছে ৷

এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এনটিএফ-এর কাছ থেকে 12 সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট চেয়েছে ৷ পাশাপাশি, এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষ লিঙ্গভেদে হিংসার ঘটনা প্রতিরোধ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তাজনিত প্রোটোকল বিষয়ে তাদের মতামত জাতীয় টাস্ক ফোর্সকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷

অষ্টম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানতে চায়, নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার কোন পর্যায়ে রয়েছে ? উত্তরে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের তরফে প্রবীণ আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার জানান, বিচার চলছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আশা করছে যে, আগামী সপ্তাহে বিচার পর্ব শেষ হবে ৷ গত 11 নভেম্বর কলকাতার শিয়ালদা আদালতে শুরু হয় আরজি করের নির্যাতিতার মামলার শুনানি ৷ এদিন পেশ করা হয় এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে

এর আগে গত 7 নভেম্বর দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয় ৷ সেদিন আরজি করের তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া বাংলার বাইরে স্থানান্তরিত করার আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ গত 9 অগস্ট আরজি করের চারতলায় সেমিনার রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় হাসপাতালেরই স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের দেহ ৷ অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৷ এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা-সহ গোটা দেশ ৷

Last Updated : Dec 10, 2024, 7:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.