বিজাপুর, 16 জানুয়ারি: নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল 12 মাওবাদীর ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই ৷ মাওবাদীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী ৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল 9টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদের একটি যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের তল্লাশিতে বিশেষ অভিযান শুরু করে ৷ বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়ার পর বিজাপুরে এসে পৌঁছন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। দু'তরফেই চলতে থাকে গুলি ৷ তার জেরেই এখনও পর্যন্ত 12 জন মাওবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷
এর আগে 7 জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের করা একটি বিস্ফোরণে শহিদ হন 8 জওয়ান । এই আট জওয়ানের মধ্যে শহিদ পাঁচজন প্রাক্তন মাওবাদী ছিলেন ৷ অর্থাৎ তাঁরা জীাবনের একটা বড় সময় নকশাল বা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৷ পরে মতাদর্শ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, 2024 সালে বস্তার অঞ্চলে 792 জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল । ওই আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী ও স্থানীয় যুবকদের মধ্য থেকে ডিআরজি কর্মীদের বস্তার বিভাগের জন্য নিয়োগ করা হয় । যার মধ্যে ছিলেন বিস্ফোরণে শহিদ 5 জওয়ানও ৷
তার আগে 4 জানুয়ারি গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ আবুজমাদ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ এই এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা 4 মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন সেনা জওয়ানরা ৷ পাশাপাশি, দান্তেওয়াড়া এলাকায় চলা এনকাউন্টারের সময় মাওবাদীদের গুলিতে ডিআরজি-এর এক জওয়ানও শহিদ হন ৷ দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই এই খবর জানিয়েছিলেন ৷ এরপর আবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল 12 মাওবাদীর ৷