নয়াদিল্লি, 21 মার্চ: কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিটের কাজ স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ 20 মার্চ এফসিইউ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত বলেছে, যতক্ষণ না বম্বে হাইকোর্টের তৃতীয় বিচারপতি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট সক্রিয় করার নিয়মের বৈধতার বিষয়ে শুনানির পরে রায় দিচ্ছেন, ততক্ষণ এর কার্যক্রম স্থগিত থাকবে । সরকারি বিষয়গুলির বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে বিষয়বস্তু থাকবে, তা নিরীক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট ।
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক বুধবার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে এফসিইউ-কে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে বিজ্ঞাপিত করেছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবং এর সংস্থাগুলি সম্পর্কে মিথ্যা যে তথ্য সোশাল মিডিয়া সাইটে প্রকাশ পাচ্ছে বলে তারা মনে করবে, সেগুলি তুলে ধরার ক্ষমতা দেওয়া হয় এই এফসিইউ-কে ৷
2023 সালের এপ্রিলে কার্যকর হওয়া সংশোধিত আইটি নিয়মগুলি, ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিটকে সোশাল মিডিয়ার বিষয়বস্তু নিরীক্ষণ করতে এবং কেন্দ্রের কাজগুলি সম্পর্কিত ভুল তথ্যের অংশগুলিকে তুলে ধরার ক্ষমতা দেয় ।
আইটি রুলস 2023 স্থগিত করার জন্য কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরা এবং এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া আবেদন জানিয়েছিল ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের তিন বিচারপতির বেঞ্চ সেই আবেদনের শুনানিতেই ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিটের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷ ওই আইটি আইন অনুযায়ীই 20 মার্চ কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট প্রতিষ্ঠার কথা জানানো হয় ।
শীর্ষ আদালত বলেছে, "আমরা স্পষ্টভাবে মনে করি যে, অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পরে 20 মার্চ, 2024-এ জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করা দরকার ৷" বেঞ্চ বলেছে, বিষয়টি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত ।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, এফসিইউয়ের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের বিভক্ত রায়ের পরে তৃতীয় বিচারপতি মামলাটির শুনানি করছেন । শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, বম্বে হাইকোর্টের চূড়ান্ত আদেশ বাকি রয়েছে, ফলে এফসিইউ সক্রিয় করা যাবে না । আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন আইনজীবী শাদান ফারসাত, গৌতম ভাটিয়া এবং শীর্ষ আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ।
শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন রিলিফ বা স্বস্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তৃতীয় বিচারপতির মতামতের কথা তুলে ধরে এবং নির্দেশ দেয় যে, হাইকোর্টে মমালার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত 20 মার্চ তারিখের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত থাকবে ।
আরও পড়ুন: