ETV Bharat / bharat

আদানির চেয়েও 'বড় দুর্নীতি' 4 জুন শেয়ার বাজারে, মোদি-শাহের বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি রাহুলের - Rahul on Stock Market Crash on 4 June

Rahul Alleges of Scam in Stock Market after Exit Poll: বুথ ফেরত সমীক্ষা যে মিথ্যা এবং 4 জুন আসল ফল কী হবে, তা জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাও তিনি আমজনতাকে 4 জুন বা তাঁর আগে শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন ৷ কেন ? সব জেনেও তিনি কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ৷

Rahul Gandhi
রাহুল গান্ধি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 6, 2024, 6:03 PM IST

Updated : Jun 6, 2024, 9:10 PM IST

নয়াদিল্লি, 6 জুন: "প্রধানমন্ত্রী জানতেন এক্সিট পোল মিথ্যা ৷ তাও তিনি 5 কোটি বিনিয়োগকারীকে বারবার শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন ৷ কেন ? এটা আদানির থেকেও বড় দুর্নীতি", মোদি-শাহকে কড়া আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বা যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি তদন্ত করেন তিনি ৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির আরও দাবি, বিজেপির নিজস্ব সমীক্ষা জানিয়েছিল, দেশে ভারতীয় জনতা পার্টি 220টি লোকসভা আসন পাবে ৷ আর এই তথ্য জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ৷ তাও তিনি 4 জুন দেশবাসীকে শেয়ার কেনার কথা বলেন ৷

উল্লেখ্য, 1 জুন, শনিবার ভোট শেষ হতেই একাধিক বুথ-ফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ৷ আসন সংখ্যা কেউ 300 তো কেউ 300-র বেশি বলে দাবি করেছিল ৷ এরপর সোমবার, 3 জুন শেয়ার বাজার খোলা থেকে সারাদিন বিপুল আর্থিক কেনাবেচা হয় ৷ এদিকে ঠিক পরদিন অর্থাৎ ভোট গণনার সকালে ভোটের বাস্তব ফলাফল সামনে আসে এবং শেয়ার বাজার খুলতেই 3 হাজার পয়েন্ট পড়ে যায় ৷ বেলা বাড়তে সাড়ে 4 হাজার পয়েন্ট নীচে নামে শেয়ার বাজারের সূচক ৷ বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয় ৷ কংগ্রেসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী 30 লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷

এদিন রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এই প্রথমবার লক্ষ করলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু-তিন বার বলেছেন, শেয়ার বাজার দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো সরাসরি বলেছেন, 4 জুন শেয়ার বাজার আকাশ ছোঁবে ৷ লোকের শেয়ার কেনা উচিত ৷ একই কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রীও ৷"

এরপর রাহুল তাঁর পিছন দিকে ভেসে ওঠা পর্দায় একটি সময় সারণি দেখান ৷ কংগ্রেসের দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী 13 মে অমিত শাহ বলেন, "4 জুনের আগে শেয়ার কিনুন ৷" অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 19 মে বলেন, "4 জুন শেয়ার বাজার সব রেকর্ড ভেঙে দেবে ৷" এই কথাই তিনি 28 মে ফের বলেন বলে দাবি করেন রাহুল ৷

কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, বিজেপির নিজস্ব অফিসিয়াল সার্ভে জানিয়েছিল, বিজেপি এবার 220টি আসনে জয়ী হবে ৷ কাজেই বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা জানতেন তাঁদের দল 300 পার করতে পারবে না ৷ গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও সরকারকে জানিয়েছিল, তারা এবার 200 থেকে 220টি আসন পাবে ৷ রাহুল বলেন, "3 জুন শেয়ার বাজারে সব রেকর্ড ভেঙে যায় ৷ আর 4 জুন এক ধাক্কায় শেয়ার বাজার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় ৷"

কংগ্রেসের হেডকোয়ার্টারে আরও একটি তথ্যচিত্রে মে মাসের শেষ সপ্তাহের শেয়ার বাজারের লেনদেনের রেখাচিত্র দেখানো হয় ৷ রাহুল দেখান যে 29, 30 মে-র তুলনায় 31 মে শেয়ারবাজারে লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল ৷ তারপরে 4 জুন অঘটন ঘটে শেয়ার বাজারে ৷ কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় ৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির প্রশ্ন, "কাদের ক্ষতি হল ? খুচরো বিক্রেতাদের ৷ এটাই ভারতের শেয়ার বাজারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ৷"

4 জুন শেয়ার বাজারে দুর্নীতির অভিযোগে রাহুলের প্রশ্ন-

  1. প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন 5 কোটি বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার নির্দিষ্ট তথ্য দিলেন ৷ মানুষকে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ ?
  2. আদানি গ্রুপের দু'টি মিডিয়া সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেওয়া হয়েছে ৷ সেগুলি শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সেবির তদন্তের আওতায় রয়েছে ৷ এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপি করার অভিযোগে তদন্ত চলছে ৷ তাহলে সেই গ্রুপের মিডিয়ায় কীভাবে শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য করা হল ? এই দুর্নীতিতে চ্যানেল দু'টির ভূমিকা কী ?
  3. বিজেপি, বুথ ফেরত সমীক্ষা যাঁরা করেছেন এবং সন্দেহভাজন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সম্পর্ক কী ? এই বিনিয়োগকারীরা ভোটগণনার আগের দিন বিপুল অর্থ লাভ করেছেন ৷ আর 5 কোটি পরিবারকে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে ৷

এই ঘটনাকে দেশের সবচেয়ে বড় 'শেয়ার বাজার দুর্নীতি' বলে উল্লেখ করে রাহুল বলেন, "আমরা এই দুর্নীতিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করছি ৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার শেয়ার কেনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ৷ এটা একটা অপরাধমূলক কাজ ৷" তাঁর অভিযোগ, 4 জুন শেয়ার বাজারে কয়েক হাজার লক্ষ টাকার ক্ষতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তাঁরা সব জেনেও সোজাসুজি সাধারণ মানুষকে শেয়ার বাজার ওঠার আভাস দিয়েছিলেন ৷ মানুষকে শেয়ার কিনতে উৎসাহিত করেছিলেন ৷

নয়াদিল্লি, 6 জুন: "প্রধানমন্ত্রী জানতেন এক্সিট পোল মিথ্যা ৷ তাও তিনি 5 কোটি বিনিয়োগকারীকে বারবার শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন ৷ কেন ? এটা আদানির থেকেও বড় দুর্নীতি", মোদি-শাহকে কড়া আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বা যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি তদন্ত করেন তিনি ৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির আরও দাবি, বিজেপির নিজস্ব সমীক্ষা জানিয়েছিল, দেশে ভারতীয় জনতা পার্টি 220টি লোকসভা আসন পাবে ৷ আর এই তথ্য জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ৷ তাও তিনি 4 জুন দেশবাসীকে শেয়ার কেনার কথা বলেন ৷

উল্লেখ্য, 1 জুন, শনিবার ভোট শেষ হতেই একাধিক বুথ-ফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ৷ আসন সংখ্যা কেউ 300 তো কেউ 300-র বেশি বলে দাবি করেছিল ৷ এরপর সোমবার, 3 জুন শেয়ার বাজার খোলা থেকে সারাদিন বিপুল আর্থিক কেনাবেচা হয় ৷ এদিকে ঠিক পরদিন অর্থাৎ ভোট গণনার সকালে ভোটের বাস্তব ফলাফল সামনে আসে এবং শেয়ার বাজার খুলতেই 3 হাজার পয়েন্ট পড়ে যায় ৷ বেলা বাড়তে সাড়ে 4 হাজার পয়েন্ট নীচে নামে শেয়ার বাজারের সূচক ৷ বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয় ৷ কংগ্রেসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী 30 লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷

এদিন রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এই প্রথমবার লক্ষ করলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু-তিন বার বলেছেন, শেয়ার বাজার দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো সরাসরি বলেছেন, 4 জুন শেয়ার বাজার আকাশ ছোঁবে ৷ লোকের শেয়ার কেনা উচিত ৷ একই কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রীও ৷"

এরপর রাহুল তাঁর পিছন দিকে ভেসে ওঠা পর্দায় একটি সময় সারণি দেখান ৷ কংগ্রেসের দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী 13 মে অমিত শাহ বলেন, "4 জুনের আগে শেয়ার কিনুন ৷" অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 19 মে বলেন, "4 জুন শেয়ার বাজার সব রেকর্ড ভেঙে দেবে ৷" এই কথাই তিনি 28 মে ফের বলেন বলে দাবি করেন রাহুল ৷

কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, বিজেপির নিজস্ব অফিসিয়াল সার্ভে জানিয়েছিল, বিজেপি এবার 220টি আসনে জয়ী হবে ৷ কাজেই বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা জানতেন তাঁদের দল 300 পার করতে পারবে না ৷ গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও সরকারকে জানিয়েছিল, তারা এবার 200 থেকে 220টি আসন পাবে ৷ রাহুল বলেন, "3 জুন শেয়ার বাজারে সব রেকর্ড ভেঙে যায় ৷ আর 4 জুন এক ধাক্কায় শেয়ার বাজার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় ৷"

কংগ্রেসের হেডকোয়ার্টারে আরও একটি তথ্যচিত্রে মে মাসের শেষ সপ্তাহের শেয়ার বাজারের লেনদেনের রেখাচিত্র দেখানো হয় ৷ রাহুল দেখান যে 29, 30 মে-র তুলনায় 31 মে শেয়ারবাজারে লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল ৷ তারপরে 4 জুন অঘটন ঘটে শেয়ার বাজারে ৷ কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় ৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির প্রশ্ন, "কাদের ক্ষতি হল ? খুচরো বিক্রেতাদের ৷ এটাই ভারতের শেয়ার বাজারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ৷"

4 জুন শেয়ার বাজারে দুর্নীতির অভিযোগে রাহুলের প্রশ্ন-

  1. প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন 5 কোটি বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার নির্দিষ্ট তথ্য দিলেন ৷ মানুষকে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ ?
  2. আদানি গ্রুপের দু'টি মিডিয়া সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেওয়া হয়েছে ৷ সেগুলি শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সেবির তদন্তের আওতায় রয়েছে ৷ এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপি করার অভিযোগে তদন্ত চলছে ৷ তাহলে সেই গ্রুপের মিডিয়ায় কীভাবে শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য করা হল ? এই দুর্নীতিতে চ্যানেল দু'টির ভূমিকা কী ?
  3. বিজেপি, বুথ ফেরত সমীক্ষা যাঁরা করেছেন এবং সন্দেহভাজন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সম্পর্ক কী ? এই বিনিয়োগকারীরা ভোটগণনার আগের দিন বিপুল অর্থ লাভ করেছেন ৷ আর 5 কোটি পরিবারকে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে ৷

এই ঘটনাকে দেশের সবচেয়ে বড় 'শেয়ার বাজার দুর্নীতি' বলে উল্লেখ করে রাহুল বলেন, "আমরা এই দুর্নীতিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করছি ৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার শেয়ার কেনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ৷ এটা একটা অপরাধমূলক কাজ ৷" তাঁর অভিযোগ, 4 জুন শেয়ার বাজারে কয়েক হাজার লক্ষ টাকার ক্ষতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তাঁরা সব জেনেও সোজাসুজি সাধারণ মানুষকে শেয়ার বাজার ওঠার আভাস দিয়েছিলেন ৷ মানুষকে শেয়ার কিনতে উৎসাহিত করেছিলেন ৷

Last Updated : Jun 6, 2024, 9:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.