ETV Bharat / bharat

আদালতের নির্দেশের পরই বৃহস্পতির ভোর থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু পুজো-পাঠ

Puja performed inside Gyanvapi mosque complex: বারাণসী আদালত বুধবার হিন্দু ভক্তদের জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে একটি জায়গায় পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও মুসলিম পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বারাণসী আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 1, 2024, 5:18 PM IST

বারাণসী, 1 ফেব্রুয়ারি: বারাণসী আদালতের নির্দেশের পরই জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে পূজার্চনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল ৷ এর আগে বুধবারই বারাণসী আদালত হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার উপাসনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ৷ মসজিদের 'ব্যাস কা তহখানা' (বেসমেন্ট)-এর ব্যারিকেডগুলিও খুলে দেওয়া হয় ৷ আর এদিন ভোর থেকেই পুজো শুরু হয় সেখানে ৷

যদিও মুসলিম পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বারাণসী আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছে। মুসলিম পক্ষের আইনজীবী আখলাক আহমেদ বলেন,"আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাব। আদেশটি 2022 সালের অ্যাডভোকেট কমিশনার রিপোর্ট, এএসআই-এর রিপোর্ট এবং 1937 সালের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছে, যা আমাদের পক্ষে ছিল। 1993 সালের আগে যে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার কোনও প্রমাণ হিন্দু পক্ষ দেয়নি। এই জায়গায় এমন কোনও মূর্তিও নেই।" এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, "আমরা এই ধরনের কোনও আদেশ গ্রহণ করব না। আমরা আইনি লড়াই লড়ব। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই এসব হচ্ছে। বাবরি মসজিদ মামলায় যা হয়েছিল সেই একই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে,। কমিশনারের রিপোর্ট এবং এএসআই-এর রিপোর্ট আগে বলেছিল ভিতরে কিছুই ছিল না। আমরা এই সিদ্ধান্তে খুবই অসন্তুষ্ট ৷" মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকী আরও বলেন, "1993 সালের আগে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই।"

বারাণসী আদালত বুধবার হিন্দু ভক্তদের জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে 'ব্যাস কা তহখানা' এলাকায় প্রার্থনা করার অনুমতি দিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে বলে আদালত। হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন এএনআইকে বলেন,"সাত দিনের মধ্যে পুজো শুরু হবে। প্রত্যেকেরই পুজো করার অধিকার থাকবে।" তাঁর কথায়, "হিন্দু পক্ষকে ব্যাস কা তহখানাতে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সাত দিনের মধ্যে সেই মর্মে ব্যবস্থা করতে হবে ৷" মসজিদটির বেসমেন্টে চারটি 'তহখানা' (কোঠা) রয়েছে, যার মধ্যে একটি এখনও ব্যাস পরিবারের দখলে রয়েছে, যারা সেখানে বসবাস করতেন বলে দাবি করা হয়েছে। ব্যাস আবেদন করেছিলেন যে, বংশগত পূজারি হিসাবে, তাকে তাহখানায় প্রবেশ করতে এবং পুজো পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সাতদিন নয় কার্যত রায় জানার 24 ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল পুজো।

আরও পড়ুন

রাতেই সরল ব্যারিকেড, বৃহস্পতিতে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের কক্ষে পুজো

জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত

বারাণসী, 1 ফেব্রুয়ারি: বারাণসী আদালতের নির্দেশের পরই জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে পূজার্চনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল ৷ এর আগে বুধবারই বারাণসী আদালত হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার উপাসনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ৷ মসজিদের 'ব্যাস কা তহখানা' (বেসমেন্ট)-এর ব্যারিকেডগুলিও খুলে দেওয়া হয় ৷ আর এদিন ভোর থেকেই পুজো শুরু হয় সেখানে ৷

যদিও মুসলিম পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বারাণসী আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছে। মুসলিম পক্ষের আইনজীবী আখলাক আহমেদ বলেন,"আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাব। আদেশটি 2022 সালের অ্যাডভোকেট কমিশনার রিপোর্ট, এএসআই-এর রিপোর্ট এবং 1937 সালের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছে, যা আমাদের পক্ষে ছিল। 1993 সালের আগে যে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার কোনও প্রমাণ হিন্দু পক্ষ দেয়নি। এই জায়গায় এমন কোনও মূর্তিও নেই।" এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, "আমরা এই ধরনের কোনও আদেশ গ্রহণ করব না। আমরা আইনি লড়াই লড়ব। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই এসব হচ্ছে। বাবরি মসজিদ মামলায় যা হয়েছিল সেই একই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে,। কমিশনারের রিপোর্ট এবং এএসআই-এর রিপোর্ট আগে বলেছিল ভিতরে কিছুই ছিল না। আমরা এই সিদ্ধান্তে খুবই অসন্তুষ্ট ৷" মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকী আরও বলেন, "1993 সালের আগে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই।"

বারাণসী আদালত বুধবার হিন্দু ভক্তদের জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে 'ব্যাস কা তহখানা' এলাকায় প্রার্থনা করার অনুমতি দিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে বলে আদালত। হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন এএনআইকে বলেন,"সাত দিনের মধ্যে পুজো শুরু হবে। প্রত্যেকেরই পুজো করার অধিকার থাকবে।" তাঁর কথায়, "হিন্দু পক্ষকে ব্যাস কা তহখানাতে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সাত দিনের মধ্যে সেই মর্মে ব্যবস্থা করতে হবে ৷" মসজিদটির বেসমেন্টে চারটি 'তহখানা' (কোঠা) রয়েছে, যার মধ্যে একটি এখনও ব্যাস পরিবারের দখলে রয়েছে, যারা সেখানে বসবাস করতেন বলে দাবি করা হয়েছে। ব্যাস আবেদন করেছিলেন যে, বংশগত পূজারি হিসাবে, তাকে তাহখানায় প্রবেশ করতে এবং পুজো পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সাতদিন নয় কার্যত রায় জানার 24 ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল পুজো।

আরও পড়ুন

রাতেই সরল ব্যারিকেড, বৃহস্পতিতে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের কক্ষে পুজো

জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.