পটনা, 2 অক্টোবর: ক্ষমতায় এলে 1 ঘণ্টার মধ্যে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। নিজের রাজনৈতিক দল জন সুরজ পার্টির যাত্রা শুরু করে বুধবার একথাই বললেন প্রশান্ত কিশোর । তাঁর দাবি, মদ বিক্রি থেকে কর বাবদ যে টাকা মিলবে তা দিয়ে বিহারে উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।
পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে পিকের অভিযোগ, দেশের সম্পত্তি গুজরাতে পাচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তার জেরে গুজরাতের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও দেশের বাকি অংশে তেমন কিছুই হচ্ছে না। এছাড়া গত তিন দশক ধরে বিহারের রাজনীতির দুই প্রধান নিয়ন্ত্রক বর্তমান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ করেছেন পিকে ।
পূর্ব ঘোষণা মতো গান্ধি জয়ন্তীতে নিজের রাজনৈতিক দলের সূচনা করেন প্রশান্ত। প্রথম ভাষণেই জানিয়েদেন তাঁর দল ক্ষমতায় এলে 1 ঘণ্টার মধ্যে বিহারে মদের উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা সরকার প্রত্যাহার করে নেবে। কেন এমন সিদ্ধান্ত হবে তাও জানান তিনি। পিকের দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতেই এমন উদ্যোগ নেবে সরকার।
তাঁর কথায়, " দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষা চাই। আর তার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা। আর তাই আমরা ক্ষমতায় আসার 1 ঘণ্টার মধ্যে মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব। কেউ ভাবতে পারে এই দুটোর মধ্যে কী সম্পর্ক ? মদ বিক্রি থেকে পাওয়া করের টাকা রাজ্য সরকার সঞ্চয় করবে না । কোনও নেতার সুরক্ষার জন্যও এই অর্থ খরচ হবে না । আগামী 20 বছরে এই টাকা দিয়ে বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা হবে । একসময় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন বাইরে থেকে বহু মানুষ পড়তে আসতেন এখনও তেমনই হবে । সেদিন আমি বুঝব বিহারের প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে।"
অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষ গুজরাতে মোদির কাজ দেখে তাঁকে ভোট দিয়েছিলাম । আমরা ভেবেছিলাম, গুজরাতের মতো উন্নয়ন গোটা দেশে হবে । গুজরাতে সত্যিই উন্নয়ন হচ্ছে । মনে হচ্ছে দেশের সমস্ত অংশ থেকে টাকা গুজরাতে চলে যাচ্ছে । সেই টাকা থেকে গুজরাতের প্রতিটি গ্রামে কারখানা তৈরি করছেন মোদি । আর আমাদের বিহারের সাধারণ মানুষ এখানে কাজ না পেয়ে গুজরাতে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন । "
মোদির পাশাপাশি বিহারের রাজনীতির দুই প্রধান চরিত্র নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদ যাদবকেও আক্রমণ করেন পিকে । তাঁকে বলতে শোনা যায়, "সামাজিক ন্যায়ের নামে আপনারা লালুকে ভোট দিয়েছেন । গরিব মানুষ তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাবেন এই আশায় লালুর দলকে ভোট দিয়েছিলেন । গরিব মানুষ সে সময় সম্মান পেয়েছিলেন তা অস্বীকার করার উপায় নেই । তবে আইন-শৃঙ্খলা বলে কোনও কিছু ছিল না। নীতীশকে ভোট দিয়েছিলেন উন্নয়নের জন্য। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রসারের জন্য । এখানে কাজ হয়নি তা বলা যাবে না । তবে নীতীশের তৈরি করা বিদ্যৎ সংক্রান্ত নীতী আজ বিহারের বাসিন্দাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । ঠিক তেমনি 5 কিলো রেশনের জন্য মোদিকে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু আপনারা বুঝতেও পারছেন না এরই মধ্যে দুর্নীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে । "