নয়াদিল্লি, 3 জুলাই: চোপড়ার ঘটনা নিয়ে এবার রাজ্যসভায় সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ উঠে এল সন্দেশখালীর প্রসঙ্গও ৷ বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে ইন্ডিয়া জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ এরপরই একের পর এক ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ চোপড়ায় এক মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার পরও নীরব থাকার জন্য বিরোধী দলগুলিকে ভর্ৎসনাও করেন প্রধানমন্ত্রী ৷
ভাষণের একটি অংশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "যিনি নিজেকে আধুনিক প্রগতিশীল নেত্রী বলেন, তিনিও মুুখে কুলুপ এঁটে বসে গেলেন ? কেন ? কারণ এই ঘটনা সেই দলের শাসনাধীন রাজ্যে হয়েছে, যারা আপনাদের শরিক ?" রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে এই বক্তব্যের মাধ্যমে মোদি ঘুরপথে সোনিয়া গান্ধিকে কটাক্ষ করেছে ৷ কংগ্রেস এবারই প্রথম সোনিয়াকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছে ৷ তাছাড়া কংগ্রেসের তরফে ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে সমন্বয় রাখার কাজ করেছেন সোনিয়া ৷
সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবের বিতর্কের জবাবে মোদি জানান, সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একজন মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হচ্ছে ৷ তারপরও দেশের তাবড় বিরোধী দলগুলি নীরব। এটিকে উদ্বেগজনক ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন মোদি ৷ তিনি এদিন রাজ্যসভায় সন্দেশখালীর ঘটনাও তুলে ধরেন। এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি কোনও একটি রাজ্যের বিরুদ্ধে বলছি না। তবে সম্প্রতি বাংলার একটি ঘটনা নিয়ে আমি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখেছি। এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে সবার সামনে পেটানো হচ্ছে। আমাদের ওই বোন চিৎকার করছেন। কিন্তু সেই চিৎকার কারও কানে পৌঁছচ্ছে না ৷ কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসছেন না। উলটে সবাই ভিডিয়ো রেকর্ড করতেই ব্যস্ত। এটা উদ্বেগের বিষয়।"
মোদি বলেন, "আর যে ঘটনা সন্দেশখালিতে হয়েছে, যার ছবি দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়। কিন্তু কাল থেকে কত বড় বড় দ্বিগ্বজনদের কথা শুনলাম। কারও মুখে এই নিয়ে একটি কথাও শোনা গেল না। এর থেকে বড় লজ্জার আর দুঃখের ঘটনা আর কী হতে পারে ?" এখানেই শেষ নয়, এজেন্সির বিষয়ে বিরোধীদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, "এজেন্সিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সম্পূর্ণ পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি আমি ৷ সরকার তাদের কাজে কোনও বাধা দেবে না ৷ শুধু তারা নিষ্ঠা এবং স্বাধীনভাবে কাজ করুক ৷" (পিটিআই)