নয়াদিল্লি, 4 মার্চ: আইনসভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করা বা বক্তব্য দেওয়া নিয়ে রায় দেওয়ার পর হঠাৎই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মুখে শোনা গেল বিচারকক্ষের আর্দালিদের কথা ৷ আর্দালিরা কিভাবে বিচারপতিদের সিনিয়রটি বুঝিয়ে দেন, সেটাই এ দিন উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ৷
সোমবার আইনসভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করা বা বক্তব্য দেওয়া নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেয় ৷ সেই রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে সংসদ ও রাজ্য আইনসভার সদস্যরা ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত মামলায় বিচার থেকে মুক্ত নয় । পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে 1998 সালের একটি রায় বাতিল করে দিয়েছে ৷ ওই রায়ে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ সাংসদ বা বিধায়কদের আইনসভায় বক্তৃতা দেওয়া বা ভোট দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছিল ৷
রায় ঘোষণার পরে প্রধান বিচারপতি সিনিয়র আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনকে উদ্দেশ্য করে জানান যে বারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কিছু কথা বলতে চান ৷ রাজু রামচন্দ্রন এই মামলায় একজন মামলাকারীর আইনজীবী ছিলেন ৷ এর পর প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখন আমি আপনাকে একটু বাদ দিয়ে বলছি যে যখন আমরা (বিচারপতিরা) পাঁচ বা দুই বা তিনজনের বেঞ্চে বসে থাকি । আমরা যখন আদালতে প্রবেশ করি, আর্দালিরা সর্বদা আমাদের বলবেন, কারা প্রথমে আদালতের ভিতরে যেতে হবে ৷”
তিনি আরও বলেন, “কিছু আদালতে সিনিয়র আগে যান৷ কিছু আদালতে জুনিয়র আগে যান ৷ ...পাঁচ, সাত এবং ন’জনের সমন্বয় হলে এটা একটু জটিল হয়ে যায় । তাই যখন আমরা ন’জন একত্রিত হই... এবং সেখানে একজন প্রধান আর্দালি থাকেন, যিনি বলেন প্রথমে আপনি যাবেন... ৷” এর পর প্রধান বিচারপতি হাসিমুখে বলেন, "আমরা সকলেই আর্দালির আদেশ সাপেক্ষে সেই ক্রমে রয়েছে এবং আমরা সেই ক্রম অনুযায়ী আদালতে যাই ৷"
সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজু রামচন্দ্রন কেশবানন্দ ভারতী মামলার কথা উল্লেখ করেন ৷ সেই মামলায় বিচারকদের ক্রম দেখার মতো ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন ৷ বারের কয়েকজন সদস্য়ই তা দেখেছিলেন বলে তিনি জানান ৷ তিনি ছাত্র হিসেবে তা দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন ৷
আরও পড়ুন: