নয়াদিল্লি, 16 এপ্রিল: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছুক যোগগুরু রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণ ৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা এ কথা জানিয়েছেন ৷
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চকে রামদেব এবং বালকৃষ্ণের পক্ষে উপস্থিত শীর্ষ আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, "প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছুক ।" সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে বেঞ্চের সঙ্গে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসতে বলেন বিচারপতি । বেঞ্চ বলেছে, "তাঁদের এটা বোঝা উচিত যে, আদালতের সঙ্গে তাঁদের একটি সংযোগ আছে।" এই নিয়ে বর্তমানে শুনানি চলছে এবং বেঞ্চ বর্তমানে রামদেবের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন ।
রামদেব এবং বালকৃষ্ণ পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে পণ্যগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে ভূরি ভূরি দাবি করার জন্য শীর্ষ আদালতের সামনে 'নিঃশর্তে ক্ষমা' চাওয়ার দরখাস্ত করেছেন ৷ আদালতে দাখিল করা দুটি পৃথক হলফনামায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণ গত বছরের 21 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশের 'বিবৃতি লঙ্ঘনের' জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ।
2023 সালের 21 নভেম্বরের নির্দেশে শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছিল যে, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী এটি আশ্বস্ত করেছেন, "এখন থেকে বিশেষত ফার্মের উৎপাদিত এবং বিপণন করা পণ্যগুলির বিজ্ঞাপন বা ব্র্যান্ডিং সম্পর্কিত বিষয়ে কোনও আইন লঙ্ঘন করা হবে না । ওষুধের কার্যকারিতা দাবি করে বা কোনও ওষুধের বিরুদ্ধে আলটপকা কোনও বিবৃতি কোনও আকারে মিডিয়াতে প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷"
শীর্ষ আদালত বলেছিল যে, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড 'এই ধরনের আশ্বাসে আবদ্ধ'। সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পালন না-করায় এবং পরবর্তী মিডিয়া বিবৃতিগুলির কারণে শীর্ষ আদালত বিরক্ত হয়েছে ৷ তার জেরে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য রামদেব ও বালকৃষ্ণকে নোটিশ পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: