ETV Bharat / bharat

খনিজ সম্পদ অন্বেষণ, শীঘ্রই হারবার ট্রায়াল শুরু 'মৎস্য 6000' সমুদ্রযানের

Samudrayaan Mission: গভীর সমুদ্র গবেষণা যান 'মৎস্য 6000'-এর হারবার ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে ৷ সমুদ্রযান মিশনের অধীনে এই ট্রায়াল রান করবে চেন্নাই-ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি) ৷ খনিজ সম্পদ সম্পর্কে অন্বেষণ করতে সমুদ্রযানে যাবেন তিনজন ।

Samudrayaan Mission
সমুদ্রযান মিশন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 24, 2024, 12:35 PM IST

শীঘ্রই হারবার ট্রায়াল শুরু 'মৎস্য 6000' সমুদ্রযানের

চেন্নাই, 24 ফেব্রুয়ারি: মহাসাগর গবেষণায় নতুন মাইলফলক ছুঁতে চলেছে ভারত ৷ গভীর সমুদ্রে গবেষণার জন্য মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে ৷ ভারত সরকারের আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি বর্তমানে সমুদ্রযান প্রকল্পে কাজ করছে, যা গবেষণার অংশ হিসাবে মানুষকে গভীর সমুদ্রে পাঠাবে । চেন্নাই-ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি) হল একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ৷ এনআইওটি গভীর সমুদ্র গবেষণার জন্য 'মৎস্য 6000' নামে একটি যান তৈরি করেছে ।

ইটিভি ভারতকে এনআইওটি ডিরেক্টর জিএ রামাদাস বলেছেন, "সমুদ্রযান প্রকল্পটি 4 হাজার 800 কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে । কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চেন্নাইয়ে এই সমুদ্রযানের হারবার ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে । এই প্রকল্পের লক্ষ্য সমুদ্রের তলদেশে 6000 মিটার গভীরে গবেষণা চালানো ৷ হারবার ট্রায়াল রান প্রথম পর্যায়ে 500 মিটার গভীরে অনুষ্ঠিত হবে । তিনজন মানুষ সমুদ্রের গভীরে গিয়ে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে অন্বেষণ করবে ।"

চেন্নাইয়ের পল্লীকারনাই-এর এনআইওটি ক্যাম্পাসে সমুদ্রযানটি দেখিয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, সমুদ্রযানে একটি গোলক-আকৃতির বডি থাকবে যাতে মানুষ ভ্রমণ করতে পারে । প্রায় 6.6 মিটার দীর্ঘ এবং 210 টন ওজনের এই যানটি 48 ঘণ্টা একটানা দলের নীচে গবেষণা চালাতে সক্ষম । বিশেষ করে গোলক আকৃতির জাহাজ, যা মানুষকে বহন করতে পারে তা সম্পূর্ণ টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি । এনআইওটি ডিরেক্টর জানান, টাইটানিয়াম ধাতু গভীর সমুদ্র গবেষণায় দরকারি, কারণ এটি অন্যান্য ধাতুর তুলনায় হালকা এবং শক্তিশালী । প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে সাবমেরিনের পাইলট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে । এছাড়া দু'জন এনআইওটি বিজ্ঞানীকে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।

মৎস্য 6000 যানটিটে গভীর সমুদ্র দেখার জন্য তিনটি বন্দর, সমুদ্র অন্বেষণের জন্য দুটি ম্যানিপুলেটর, খনিজ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি ট্রে, গভীর সমুদ্র এবং সম্পদের ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা এবং লাইট-সহ বৈশিষ্ট্য থাকবে । সূত্রের খবর, সমুদ্রযান প্রকল্পটি এই বছরেই শুরু হবে এবং 2026 সালের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় গবেষণা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ।

এনআইওটি'র বৈজ্ঞানিক গবেষক এন আর রমেশ জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থার উদ্দেশ হল গভীর সমুদ্রে সম্পদ সম্পর্কে অন্বেষণ করা । সমুদ্র সম্পদ শোষণ থেকে কোন প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়েও গবেষণা চলছে । তিনি বলেন, "এই মিশন চালু হওয়ার আগে এখনও অনেক ধাপ রয়েছে যেগুলির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. খনিজ ভাণ্ডার খুঁজতে গিয়ে চমক, উদ্ধার বায়ুসেনার বিমানের ধ্বংসাবশেষ
  2. ভারত মহাসাগরে রাসায়নিক ট্যাংকারে হামলা ইরানি ড্রোনের, চাঞ্চল্যকর দাবি পেন্টাগনের
  3. ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি বৃদ্ধিতেই কি আরেকটা জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে চায় চিন ?

শীঘ্রই হারবার ট্রায়াল শুরু 'মৎস্য 6000' সমুদ্রযানের

চেন্নাই, 24 ফেব্রুয়ারি: মহাসাগর গবেষণায় নতুন মাইলফলক ছুঁতে চলেছে ভারত ৷ গভীর সমুদ্রে গবেষণার জন্য মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে ৷ ভারত সরকারের আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি বর্তমানে সমুদ্রযান প্রকল্পে কাজ করছে, যা গবেষণার অংশ হিসাবে মানুষকে গভীর সমুদ্রে পাঠাবে । চেন্নাই-ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি) হল একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ৷ এনআইওটি গভীর সমুদ্র গবেষণার জন্য 'মৎস্য 6000' নামে একটি যান তৈরি করেছে ।

ইটিভি ভারতকে এনআইওটি ডিরেক্টর জিএ রামাদাস বলেছেন, "সমুদ্রযান প্রকল্পটি 4 হাজার 800 কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে । কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চেন্নাইয়ে এই সমুদ্রযানের হারবার ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে । এই প্রকল্পের লক্ষ্য সমুদ্রের তলদেশে 6000 মিটার গভীরে গবেষণা চালানো ৷ হারবার ট্রায়াল রান প্রথম পর্যায়ে 500 মিটার গভীরে অনুষ্ঠিত হবে । তিনজন মানুষ সমুদ্রের গভীরে গিয়ে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে অন্বেষণ করবে ।"

চেন্নাইয়ের পল্লীকারনাই-এর এনআইওটি ক্যাম্পাসে সমুদ্রযানটি দেখিয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, সমুদ্রযানে একটি গোলক-আকৃতির বডি থাকবে যাতে মানুষ ভ্রমণ করতে পারে । প্রায় 6.6 মিটার দীর্ঘ এবং 210 টন ওজনের এই যানটি 48 ঘণ্টা একটানা দলের নীচে গবেষণা চালাতে সক্ষম । বিশেষ করে গোলক আকৃতির জাহাজ, যা মানুষকে বহন করতে পারে তা সম্পূর্ণ টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি । এনআইওটি ডিরেক্টর জানান, টাইটানিয়াম ধাতু গভীর সমুদ্র গবেষণায় দরকারি, কারণ এটি অন্যান্য ধাতুর তুলনায় হালকা এবং শক্তিশালী । প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে সাবমেরিনের পাইলট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে । এছাড়া দু'জন এনআইওটি বিজ্ঞানীকে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।

মৎস্য 6000 যানটিটে গভীর সমুদ্র দেখার জন্য তিনটি বন্দর, সমুদ্র অন্বেষণের জন্য দুটি ম্যানিপুলেটর, খনিজ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি ট্রে, গভীর সমুদ্র এবং সম্পদের ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা এবং লাইট-সহ বৈশিষ্ট্য থাকবে । সূত্রের খবর, সমুদ্রযান প্রকল্পটি এই বছরেই শুরু হবে এবং 2026 সালের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় গবেষণা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ।

এনআইওটি'র বৈজ্ঞানিক গবেষক এন আর রমেশ জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থার উদ্দেশ হল গভীর সমুদ্রে সম্পদ সম্পর্কে অন্বেষণ করা । সমুদ্র সম্পদ শোষণ থেকে কোন প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়েও গবেষণা চলছে । তিনি বলেন, "এই মিশন চালু হওয়ার আগে এখনও অনেক ধাপ রয়েছে যেগুলির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. খনিজ ভাণ্ডার খুঁজতে গিয়ে চমক, উদ্ধার বায়ুসেনার বিমানের ধ্বংসাবশেষ
  2. ভারত মহাসাগরে রাসায়নিক ট্যাংকারে হামলা ইরানি ড্রোনের, চাঞ্চল্যকর দাবি পেন্টাগনের
  3. ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি বৃদ্ধিতেই কি আরেকটা জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে চায় চিন ?
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.