জনকপুরধাম (নেপাল), 22 জানুয়ারি: অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে আলোকমালায় সেজে উঠল নেপালের জনকপুরের জানকী মন্দির ৷ লান,নীল থেকে হলুদ রকমারি আলোয় আলোকিত হয়েছে এই স্থান ৷ জনকপুর মাতা সীতার বাপের বাড়ি বলে কথিত ৷ রাজা জনকের রাজত্ব ছিল এখানে ৷ তাই অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে নেপালের জানকী মন্দিরও সেজে উঠেছে ৷ এখানে যেন অকাল দীপাবলির আয়োজন করা হয়েছে ৷ আলোকসজ্জার পাশাপাশি লাইট শো-ও দেখা যাবে সোমবার ৷
শ্রী রাম যুব কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রমোদকুমার চৌধুরী বলেছেন, "ত্রেতাযুগে বনবাসের পরে রাজা রামচন্দ্রকে যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল কলিযুগেও তা অব্যাহত ছিল ৷ পাঁচশ বছর অযোধ্যায় তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়েছে । নিজের জন্মভূমিতে তাঁকে ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ৷ ভগবান রামের যন্ত্রণা প্রকৃতপক্ষে সমস্ত হিন্দুদের বেদনা । আমাদের পূর্বপুরুষরা কঠোর সংগ্রাম করেছেন এবং যার পরিণতি হিসাবে আজ অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে । ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আজ ৷ এই উপলক্ষে আমি সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের অভিনন্দন জানাই এবং জনকপুরবাসীও খুব আনন্দিত ।"
প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে সেজে উঠেছে রামনগরী অযোধ্যাও ৷ ফুল ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে চারিদিক । জানকী সেনা (আর্মি) তেল, তুলো, প্রদীপ সংগ্রহ করেছে ৷ তারা 2 লক্ষ 50 হাজার প্রদীপ জ্বালানোর লক্ষ্য নিয়েছে । আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য আশুতোষ ঝা বলেছেন, "তেল, প্রদীপ, মাটির জিনিসপত্র-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে জনকপুর ও মিথিলার বাসিন্দারা তাঁদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন ৷ আমাদের লক্ষ্যে পূরণ করতে গেলে এগুলি আমাদের প্রয়োজন হবে ৷ রাতের বেলায়, লোকেরা তেল দান করছেন ৷ তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী এক লিটার শুরু করে আরও বেশি তেল দান করছে সকলে ৷ "
এর আগে বৈদিক আচারের অংশ হিসেবে অযোধ্যায় উপহার পাঠানো হয়েছে জনকপুর থেকে ৷ এই উপহারের মধ্যে ছিল অলঙ্কার, রান্না, কাপড় এবং অন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের জিনিস । দেবী সীতার মাতৃভূমি জনকপুরেও প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । সোমবার সন্ধ্যায় দীপাবলি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে এখানে ৷ তার জন্য শিল্পীরা রঙের পাশাপাশি ফুল দিয়ে রাঙ্গোলি তৈরি করেছেন । সোমবার সন্ধ্যায় দীপাবলির জন্য ইতিমধ্যেই 2500 লিটার সরিষার তেল সংগ্রহ করে প্রায় 2 লক্ষ 50 হাজার বাতি জ্বালানোর প্রস্তুতি চলছে ।
আরও পড়ুন: