মাইসোর (কর্ণাটক), 1 ফেব্রুয়ারি: সন্দেহের বশে এক মহিলাকে বছরের পর বছর একটি ঘরে তালাবন্দি করে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী ৷ কর্ণাটকের মাইসোরে এমনই এক অমানবিক ঘটনা সামনে এসেছে ৷
এইচডি কোট তালুকের এইচ মাতাকেরে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ অভিযোগ, সুনলয় স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে তাঁকে প্রবল সন্দেহ করতেন ৷ আর তার জেরেই বহু বছর ধরে একটি ঘরে তিনি স্ত্রীকে বন্দি করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘরের দরজায় তিনটি তালা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি ৷
এই খবর পেয়ে সান্ত্বনা কেন্দ্রের আধিকারিক তথা আইনজীবী সিদ্দাপ্পাজি, এএসআই সুবহান এবং আধিকারিকদের একটি দল ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে তল্লাশি চালায় ৷ উদ্ধার করা হয় ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানদের ৷ মহিলার কাছ থেকে গোটা ঘটনা জানতে পেরে তাঁর সম্মতিতেই তাঁকে তাঁর মায়েক মায়ের বাড়িতে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা অভিযুক্ত সুনালয়ের তৃতীয় স্ত্রী । তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে । সুনালয়ের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে তাঁর প্রথম দুই স্ত্রী তাঁর থেকে আলাদা হয়ে যান বলে অভিযোগ । এরপর তৃতীয় স্ত্রীর চরিত্র সম্পর্কে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে সুনালয় গৃহবন্দি করে রাখে বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘরের সব জানলা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হত না ওই মহিলাকে । বাড়িতে কোনও শৌচালয় না থাকায় ওই ঘরে রাখা একটি বালতিতেই মল-মূত্র ত্যাগ করতেন তিনি ৷ তা সুনালয় পরিষ্কার করে দিতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।
অভিযুক্তকে বোঝানোর জন্য গ্রামের প্রবীণরা বহুবার বৈঠক করেছেন । তবে তিনি ভুল শুধরে নেননি ৷ নির্যাতিতা জানান, "আমার স্বামী আমাকে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন এবং আমাকে আমার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে দেননি । অকারণে আমাকে বারবার চড় মারতেন । গ্রামের সবাই তাঁকে ভয় পান । গভীর রাতে বাড়ি না আসা পর্যন্ত তিনি আমার সন্তানদের আমার সঙ্গে থাকতে দিতেন না । আমাকে ছোট জানালা দিয়ে তাদের খাবার দিতে হত ৷" পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।
আরও পড়ুন: