দেহ উদ্ধারে কাটল ভয়, 'মানুষখেকো' বাঘকে শনাক্ত বন বিভাগের

ওয়েনাড়ে স্বস্তি ! 'মানুষখেকো' বাঘের দেহ উদ্ধার করল তদন্তকারী দল ৷ কী কারণে মৃত্যু, তা জানতে ময়নাতদন্ত ৷

ওয়েনাড়, 27 জানুয়ারি: কার্ফু জারির 5 ঘণ্টার মধ্যে 'ওয়েনাড়ের ত্রাস' মানুষখেকো বাঘের দেহ উদ্ধার ৷ শরীরে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন ৷ গলায় রয়েছে দু'টি গভীর ক্ষত ৷ বন বিভাগের অনুমান অন্য কোনও বাঘের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে এই বাঘের ৷ সোমবার ওয়েনাড়ের পাঁচরাকলির কাছে পিলাকাভু এস্টেটে উদ্ধার হয় বাঘটির দেহ ৷

বাঘটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কেরলের বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষামন্ত্রী একে সাসেন্দ্রনের কার্যালয় ৷ সেখান থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাঘটির দেহ উদ্ধার হয় ৷ এরপর সেটিকে বেস ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময়ই তদন্তকারী দল বাঘটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে ৷ শীঘ্রই তার ময়নাতদন্ত করা হবে ৷ তারপর রিপোর্ট এলেই পরিষ্কার হবে মৃত্যুর কারণ ৷

আগের দিনের ছবি ও মৃত বাঘটিকে দেখে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা হয় যে এটিই সেই বাঘ যাকে, খোঁজার জন্য কার্ফু জারি হয়েছিল ৷ এর আগে মুখ্য বন্যপ্রাণ আধিকারিক প্রমোদ জি কৃষ্ণান বাঘটিকে গুলি করার নির্দেশ জারি করেছিলেন । ডাঃ অরুণ জাকারিয়ার নেতৃত্বে একটি দল বনে বাঘের গতিবিধির তদন্ত শুরু করেছিল । প্রধান বন সংরক্ষক ঘোষণা করেন যে, বাঘের দেহের ময়নাতদন্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কুপ্পাদির বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে ময়নাতদন্ত করা হবে ।

ডাঃ অরুণ জাকারিয়া জানান, বাঘের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পুরনো বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরই বাঘের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাঘটির বয়স প্রায় সাত বছর বলে মনে হচ্ছে । বন বিভাগের প্রাথমিক অনুমান, অন্য বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে মৃতের শরীরের ক্ষত চিহ্ন মিলেছে ৷