নাগপুর, 29 অক্টোবর: বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্তে নতুন মোড় ৷ একের পর এক বিমানে বোমার রাখার ভুয়ো ঘটনায় অভিযুক্তর পরিচয় খুঁজে বের করল নাগপুর পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, এত আতঙ্ক, এত ভয়ের পিছনে রয়েছেন জগদীশ উকি নামের নাগপুরের গোণ্ডিয়ার এক বাসিন্দা ৷ পলাতক সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নাগপুর পুলিশ ৷
বিগত কয়েকমাস ধরে একের পর এক বিমানে বোমা রাখার হুমকি চিঠি কার্যত নাস্তানাবুদ হয়ে যান একাধিক বিমান পরিষেবা সংস্থার কর্তৃপক্ষ ৷ হুমকি চিঠির জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক, বিমান বাতিলের ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ প্রশ্ন উঠতে থাকে, বিমান পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে ৷ এই আবহে ঘটনার তদন্ত শুরু করে নাগপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) শ্বেতা খেরকরের নেতৃত্বে একটি দল ৷
এর পরই তদন্ত দলের হাতে উঠে আসে একাধিক তথ্য ৷ উঠে আসে অভিযুক্তের নাম ও পরিচয় ৷ পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, 35 বছরের এই যুবক সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বই লিখেছেন ৷ 2021 সালে একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ জানা গিয়েছে, হুমকি ইমেলে তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি ৷
শীর্ষ আধিকারিকের দাবি বিমানে শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেও ইমেল পাঠান তিনি ৷ শুধু তাই নয়, হুমকি ইমেল পাঠান বিভিন্ন বিমানসংস্থা, ডিজিপি ও রেল পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে ৷ প্রতিটি ইমেল খতিয়ে দেখে তাঁর সম্পর্কে তথ্য হাতে পায় নাগপুর পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ৷
উল্লেখ্য, সোমবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে একটি হুমকি ইমেল পাঠান তিনি ৷ সেখানে অভিযুক্ত জানান, তাঁর কাছে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত গোপন তথ্য রয়েছে । সেই বিষয়ে কথা বলতে চান তিনি ৷ তাঁকে সুযোগ দেওয়া না হলে, উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন ৷ এরপর ফড়নবিশের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ এখানেই শেষ নয়, সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকের আর্জি জানান এই অভিযুক্ত ৷
গত 21 অক্টোবর রেলমন্ত্রী, ডিজিপি ও আরপিএফ-কেও ইমেল পাঠান জগদীশ ৷ সেই মেল পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ এই মুহূর্তে তাঁকে গ্রেফতারের জন্যে হন্যে হয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ৷