নয়াদিল্লি, 20 অগস্ট: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (ইউপিএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। আমলাদের জন্য বরাদ্দ পদে 'ল্যাটারাল এন্ট্রি' বা সমান্তরাল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
সম্প্রতি, কেন্দ্র সরকারের যুগ্মসচিব ও অধিকর্তা পদে 45 জনকে নিয়োগ করার উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। গত শনিবার কেন্দ্রের 10 যুগ্মসচিব এবং 35 উপসচিব ও অধিকর্তা সরাসরি নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। ইউপিএসির তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। আর এই বিজ্ঞপ্তি নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। ওই বিজ্ঞাপন প্রকাশের পরেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে আরএসএস মতাদর্শীদের নিয়োগ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
রাহুল গান্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মোদি সরকারের মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। তাঁর দাবি, সরকারি চাকরিতে যা নিয়োগ হবে, সেখানে সংরক্ষণের সাংবিধানিক বিধি মেনে চলতে হবে। না হলে এই প্রক্রিয়া মানা হবে না। ফলে ইউপিএসির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক বাড়তে থাকে ৷ এর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং মঙ্গলবার ইউপিএসসির চেয়ারপার্সন প্রীতি সুদানকে চিঠি লেখেন। ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার জন্য লেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷
তিনি লেখেন, "2014 সালের আগে অ্যাড-হক পদ্ধতিতে সরাসরি আমলা নিয়োগ করা হতো। যেখানে একাধিকবার পক্ষপাতের ঘটনা দেখা গিয়েছে। কিন্তু, নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন আমাদের সাংবিধানিক কাঠামোর মূল ভিত্তি হল সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ। এর আসল উদ্দেশ্য হল সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের অগ্রগতির সুযোগ করে দেওয়া। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই সমান্তরাল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার জন্য ইউপিএসসির কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে ।"
যদিও, কেন্দ্রের তরফে ইউপিএসসিকে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের পিছনে সরাসরি শরিকি চাপের প্রভাবকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বিরোধী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।