আমেদাবাদ, 24 মে: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পোরবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হল এক ভারতীয় যুবককে ৷ 21 বছরের যতীন চারনিয়া পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে গোপনীয় তথ্য পাচার করতেন বলে অভিযোগ ৷ তিনি নিয়মিত এক পাক গুপ্তচরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে অভিযোগ ৷
জানা গিয়েছে, গুজরাত এটিএস বা অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের আধিকারিক পি বি দেশাই এক সূত্র মারফত যতীন চারনিয়া সম্পর্কে খোঁজ পান ৷ তিনি জানতে পারেন, আদ্বিকা প্রিন্স নামে পাকিস্তানের এক গুপ্তচরের সঙ্গে গত চারমাস ধরে যোগাযোগ রেখে চলেছেন যতীন ৷ তাঁর কাজ ছিল ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো সোশাল মিডিয়া সাইট থেকে মেসেজ করে পাকিস্তানের গুপ্তচরকে ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী ও তাদের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাচার করা ৷ এই তথ্য পাচারের পুরস্কার হিসেবে মোটা অংকের টাকা পাচ্ছিলেন যতীন ৷
গুজরাত এটিএসের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য আসতেই তদন্ত শুরু করে তারা ৷ পেশায় মৎস্যজীবী যতীন চারনিয়ার গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু হয় ৷ এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ও গুপ্তচরদের সাহায্য নেওয়া হয় ৷ খবর সম্পর্কে নিশ্চয়তা পেতেই যতীন চারনিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁকে পোরবন্দর থেকে আমেদাবাদে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ তদন্তে নেমে এটিএস জানতে পেরেছে, 2024 সালের জানুয়ারি মাসে যতীন আদ্বিকা প্রিন্স নামে একটি ফেসবুক পেজের সংস্পর্শে আসে ৷
আরও পড়ুন:
যতীন এটিএস গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, আদ্বিকা প্রিন্স নিজেকে একজন মহিলা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ এরপর ফেসবুক মেসেঞ্জারে দু’জনের নিয়মিত কথা শুরু হয় ৷ ধীরে ধীরে আদ্বিকা প্রিন্স নামে ওই ফেসবুক প্রোফাইলের ব্যবহারকারী যতীনের বিশ্বাস অর্জন করে ৷ আর সেখান থেকেই শুরু হয় উপকূল রক্ষীবাহিনী ও তাদের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য পাচার করা ৷ কিন্তু, কিছুদিন পরেই আদ্বিকা প্রিন্স যতীনকে নির্দেশ দেন টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে ৷
টেলিগ্রামের মাধ্যমে পোরবন্দরে ঘাট এবং জাহাজ সম্পর্কে আদ্বিকা প্রিন্সকে কিছু বিবরণ পাঠান যতীন ৷ এরপরেই যতীনকে 6 হাজার টাকা পাঠায় ওই পাকিস্তানি এজেন্ট ৷ জানা গিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে যতীনের সঙ্গে মেসেজে আলাপচারিতা চলত, তা পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হত ৷ সব প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে যতীন চারনিয়ার বিরুদ্ধে এটিএস মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: