নয়াদিল্লি, 25 অক্টোবর: বরফ গলার ইঙ্গিত ? শেষ কয়েকবছর ধরে সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছিল, তা এবার শেষের দিকে। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই বৈঠকের মাত্র কয়েকদিন পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া শুরু করল দু’দেশ। এমন সিদ্ধান্ত অবশ্য গিয়েছিল আগেই।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ডেমচকে এখনও পর্যন্ত দু’দেশই পাঁচটি করে ছাউনি সরিয়ে নিয়েছে ৷ ডেপসাংয়েও সেনা পিছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে দু’দেশ ৷ সেনা সরানোর প্রক্রিয়াটি পূর্ব এলএসি বরাবর সৈন্যদের টহলের বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তি অনুযায়ী হচ্ছে ৷ যা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর দিকে বড় অগ্রগতি হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বলছে, ভারতীয় সৈন্যরা এই অঞ্চলগুলি থেকে যুদ্ধের বিভিন্ন সরঞ্জাম ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে ৷ 2020 সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে ৷ ওই সংঘর্ষ কয়েক দশকের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল । এর আগে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি 21 অক্টোবর নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে ৷ এটি 2020 সালে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে ৷
23 অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল এবং সেনা বিচ্ছিন্নকরণের চুক্তিকে সমর্থন করেছিলেন। পূর্ব লাদাখে নয়াদিল্লির ধারাবাহিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বিক্রম মিসরি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে কাজানে একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিকের পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর এবার সীমান্তের কয়েকটি জায়গা থেকে সেনা সরানোর কাজ দু'দেশ শুরু করল বলে জানা গিয়েছে।