পেট্রাপোল, 8 অগস্ট: বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাসের পর চালু হল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানি ৷ বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দেশের বাণিজ্যিক আদানপ্রদান । তিনদিন পর উত্তর 24 পরগনার পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ব্যবসা শুরু হল ৷ চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবাও ৷ স্বাভাবিকভাবেই খুশি যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ।
বন্দর সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে অশান্তির প্রভাব পড়েছিল পেট্রাপোল বন্দরে ৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমদানি ও রফতানি ৷ অসুবিধায় পড়েছিলেন পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা । রুটি-রুজি হারাতে বসেছিলেন শ্রমিকরা ৷ পেট্রাপোল এলাকার বেসরকারি পার্কিংয়ে দাঁড়িয়েছিল ভিনরাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি ৷ বন্দরের আমদানি ও রফতানি শুরু করতে বাংলাদেশের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় ৷ গতকাল পেট্রাপোলের কার্গ গেটে দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যেও বৈঠক হয় ।
বৈঠক সূত্রে খবর, সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় গাড়ি ও গাড়ির চালকদের নিরাপত্তা দাবি করা হয় । পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় গাড়ি এবং গাড়ির চালকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পর আমদানি ও রফতানি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেইমতো, বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয় বাণিজ্যিক আদানপ্রদান ।’’
পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকরা । তাঁরা বলছেন, আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় তাঁদের কাজও শুরু হয়েছে । দ্রুত বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, এটাই এখন চাওয়া ।
চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবাও ৷ এদিন সকালে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পেট্রাপোলে এসে পৌঁছয় একটি বাস । চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অশান্তির কারণে বাস চালানো যাচ্ছিল না ৷ এখন বাংলাদেশের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভালো । বাস নিয়ে আসতে কোনও অসুবিধা হয়নি ।’’