চেন্নাই, 23 জানুয়ারি: কথায় বলে,"যদি থাকে নসিবে, আপনি আপনি আসিবে।" এই কথাই যেন ফলে গেল এবার। গভীর সমুদ্রে খনিজের ভাণ্ডার খুঁজতে গিয়ে আট বছর আগে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ পেলেন চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানীরা।
2016 সালের 22 জুলাই বঙ্গোপসাগরে ভেঙে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমান। বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌ বাহিনীর কয়েকজন আধিকারিক-সহ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর 29 জন সদস্য ছিলেন বিমানে। টানা দু'মাস ধরে তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলে। একাধিক দল আলাদা আলাদা নানা উপায়ে তল্লাশি চালাতে থাকে। শেষমেশ সেপ্টম্বর মাসে অভিযান শেষ হয়ে যায়। যুদ্ধসেনার বিমানে থাকা সকলেরই প্রাণ গিয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট বছর। আচমকাই চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আশিয়ান টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা খোঁজ পেলেন সলিল গর্ভে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষের।
জানা গিয়েছে, সংস্থার অটোনমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকেলে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে খনিজের সন্ধান করছিল। সমুদ্রের গভীরে ঠিক কী ধরনের খনিজও আছে তা খুঁজে দেখছিলেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক সেই সময় ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
তথ্য বলছে, 2016 সালের 22 জুলাই সকালে আটটার কিছু পরে তামিলনাড়ুর তামব্রামের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওড়ে এই যুদ্ধ বিমান। বিমানের যাওয়ার কথা ছিল আন্দামান। কিন্তু তার আগেই বঙ্গোপসাগরে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তার আগে সকাল 9.15 মিনিট নাগাদ বিমানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। খোঁজ মিলল এবার।
এনআইওটির বিজ্ঞানী এন আর রমেশ বলেন,"সমুদ্রের নীচে থাকা খনিজগুলির অনুসন্ধানের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়নের অংশ হিসাবে, NIOT একটি আন্ডারওয়াটার ভেইকেল তৈরি করেছে ৷ যা সমুদ্রের 6,000 মিটার গভীরে যেতে সক্ষম ৷ ইউএভি বঙ্গোপসাগরে 3,400 মিটার গভীরতায় কিছু বস্তুর শক্তিশালী প্রতিফলন ধারণ করে। সনার সংকেত বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারি যে ধাতব বস্তুগুলি হারিয়ে যাওয়া বিমানের অংশ হতে পারে।"
আরও পড়ুন: