মিরাট, 24 মার্চ: মোবাইল চার্জার থেকে শর্টসার্কিট ৷ ঘরে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু চার শিশুর ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম চার সন্তানের বাবা-মাও ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মোরাঠের পাল্লাপুরম থানা এলাকার জনতা কলোনিতে ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শনিবার রাতে মোবাইল চার্জার থেকে ছিটকে আসা আগুনের ফুলকি থেকেই ঘরে আচমকা আগুন ধরে যায় ৷ চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় চার শিশুর ৷ বাবা-মাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সময় বাড়ির বড়রা রান্নাঘরে হোলির মিষ্টি তৈরি করছিলেন। শিশুরা অন্য একটি ঘরে বসে খেলছিল। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান ৷ ঘরের দিকে দৌড়ে গিয়ে দেখেন ধোঁয়া উঠছে এবং শিশুরা আগুনের মধ্যে আটকে রয়েছে ৷ এরপরই ওই চার শিশুর মৃত্যু হয় বলে অনুমান।
হঠাৎ কীভাবে ঘরে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ ঘটনায় পল্লবপুরম থানার ইনচার্জ মুনেশ সিং জানিয়েছেন, শিশুদের যখন উদ্ধার করা হয় তখন তাদের শরীরের 70 শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীও 50 শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই চার শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুজাফফরনগরের শিখেড়া এলাকার বাসিন্দা জনি, তাঁর স্ত্রী ববিতা এবং চার সন্তান সারিকা, নীহারিকা (8), গোলু (6) এবং কালু (5) কে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। জনি পেশায় দিনমজুর। শনিবার দোলের প্রস্তুতিতে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় জনি ও তাঁর স্ত্রী ববিতা উৎসবে মেতে ওঠার আগে খাবার তৈরি করছিলেন। চার শিশু ছিল অন্য ঘরে। সেখানে একটি মোবাইলে চার্জ দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। হঠাৎ চার্জারে শর্ট সার্কিট হয় এবং তারপরই ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ৷ যার ফলে চোখের নিমেষে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়।
ঘরে থাকা বিছানায় আগুন লাগতেই তা ভয়াবহ আকার নেয় ৷ সেই আগুনে ঘরে থাকা বাচ্চারা দগ্ধ হয় ৷ জনি ও ববিতা সন্তানদের বাঁচাতে গেলে তাঁরাও আগুনে ঝলসে যান ৷ জানা গিয়েছে, বড় মেয়ে নাকি তার ভাই-বোনদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ৷ ফলে সেই আগুনে বড় মেয়েও পুড়ে যায়। আগুনে ঘর পুড়তে দেখে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন ৷ খবর পেয়ে আসে পুলিশ ৷ আগুনে দগ্ধ চারশিশু-সহ বাবা-মাকে ভরতি উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় পাশের বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সেখানেই চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন
1. রাসয়নিক কারখানায় আগুন, ঝলসে মৃত্যু 5 শ্রমিকের
2. বিয়ে বাড়ি ফেরত বাস ও লরির সংঘর্ষে ঝাড়খণ্ডে মৃত 3 শিশু, আহত 25