ETV Bharat / bharat

'পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের হিন্দু-মুসলিমরা ভারতীয়', সিএএ চালুর পর মন্তব্য শাহের - Amit Shah PoK CAA

Amit Shah on CAA: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাঁরা সবাই ভারতীয় ৷ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৷

ETV Bharat
পিওকের বাসিন্দাদের ভারতীয় বললেন অমিত শাহ
author img

By PTI

Published : Mar 16, 2024, 10:22 AM IST

Updated : Mar 16, 2024, 11:12 AM IST

নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তারা ভারতীয় ৷ কারণ পিওকে ভারতের অংশ ৷ শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র সমর্থনে খোলাখুলি একথা বললেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এদিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএর উপর আরও জোর দেন ৷

এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, "পাকিস্তান অধিকৃত ভারত বা পিওকে ভারতের অংশ ৷ সেখানে বসবাসকারীদের নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না ৷ তারা হিন্দু হোক বা মুসলিম, তাঁরা ভারতীয় ৷ তাই পিওকে-র হিন্দু এবং মুসলমান আমাদের দেশের নাগরিক ৷"

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল 2019 সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় ৷ তারপর এটি আইনে পরিণত হয় ৷ এদিকে চার বছরেরও বেশি সময় পর এই আইন কার্যকর হয় 11 মার্চ ৷ লোকসভার ঠিক আগে ৷ এই আইন কার্যকর করার সময় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে ৷ পাশাপাশি ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগও উঠেছে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ৷ অমিত শাহ অবশ্য এই সময় বিতর্কের পক্ষে জানান, 2019 সালে আইন প্রণয়ন হলেও রুলগুলি এবছর জারি করা হয়েছে ৷

এই আইনে বলা হয়েছে, তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সিএএ লাগু হওয়ার পর বিরোধী দল-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে ৷ এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, "যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, বলছেন এটি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি ৷ তাঁরাই মুসলিম পার্সোনাল ল'কে সমর্থন করেন ৷" তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশভাগের সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে স্বাগত জানানো হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম লিগ, শুনানি মঙ্গলে
  2. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত

নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তারা ভারতীয় ৷ কারণ পিওকে ভারতের অংশ ৷ শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র সমর্থনে খোলাখুলি একথা বললেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এদিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএর উপর আরও জোর দেন ৷

এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, "পাকিস্তান অধিকৃত ভারত বা পিওকে ভারতের অংশ ৷ সেখানে বসবাসকারীদের নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না ৷ তারা হিন্দু হোক বা মুসলিম, তাঁরা ভারতীয় ৷ তাই পিওকে-র হিন্দু এবং মুসলমান আমাদের দেশের নাগরিক ৷"

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল 2019 সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় ৷ তারপর এটি আইনে পরিণত হয় ৷ এদিকে চার বছরেরও বেশি সময় পর এই আইন কার্যকর হয় 11 মার্চ ৷ লোকসভার ঠিক আগে ৷ এই আইন কার্যকর করার সময় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে ৷ পাশাপাশি ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগও উঠেছে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ৷ অমিত শাহ অবশ্য এই সময় বিতর্কের পক্ষে জানান, 2019 সালে আইন প্রণয়ন হলেও রুলগুলি এবছর জারি করা হয়েছে ৷

এই আইনে বলা হয়েছে, তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সিএএ লাগু হওয়ার পর বিরোধী দল-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে ৷ এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, "যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, বলছেন এটি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি ৷ তাঁরাই মুসলিম পার্সোনাল ল'কে সমর্থন করেন ৷" তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশভাগের সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে স্বাগত জানানো হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম লিগ, শুনানি মঙ্গলে
  2. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত
Last Updated : Mar 16, 2024, 11:12 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.