থানে (মহারাষ্ট্র), 21 অগস্ট: বাবা ও ছেলের মধ্য়ে বিবাদ৷ আর তার জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হল পাঁচজনকে ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে 6টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বদলাপুর-অম্বরনাথ রোডের চিখলোলি গ্রামের হোটেল এস-3 পার্কের সামনে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে একটি সাদা রঙের গাড়িকে পিছু ধাওয়া করে এসে ধাক্কা মারে একটি কালো রঙের গাড়ি ৷ ঘটনার সময় সাদা রঙের গাড়িটি রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়েছিল ৷ চালকের আসনের দরজা খোলা ছিল ৷ চালক ছাড়াও সেখানে অন্য একজন দাঁড়িয়েছিলেন ৷ গাড়ির ধাক্কায় একজন ছিটকে পড়েন ৷
সাদা গাড়িটিকে ধাক্কা মারার পর কালো গাড়িটি কিছুদূরে এগিয়ে যায় ৷ সেই সময় একটি বাইকে ধাক্কা মারে কালো গাড়িটি ৷ বাইকটিকে ধাক্কা মারার পর কালো গাড়িটি থেমে যায় ৷ তার পর ইউটার্ন নেয় এবং দ্রুতগতিতে এসে সাদা গাড়িটিকে ধাক্কা মারে ৷ সেই সময়ও বেশ কয়েকজন আহত হন ৷
পুরো ঘটনায় হইচই পড়ে যায় সর্বত্র ৷ সেখানে উপস্থিত জনতাই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ৷ স্থানীয় অম্বরনাথ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ৷ পরে ওই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ অভিযোগ দায়ের করেন বিন্দেশ্বর শর্মা নামে এক বৃদ্ধ ৷ তিনি মুম্বইয়ের কোলাবার বাসিন্দা ৷
পুলিশ জানিয়েছে, বিন্দেশ্বর শর্মা খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন সতীশ শর্মার বিরুদ্ধে ৷ সতীশ বিন্দেশ্বরের বড় ছেলে ৷ তিনি বদলাপুরে থাকেন ৷ প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিন্দেশ্বর স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে সতীশের বাড়িতে গিয়েছিলেন ৷ উদ্দেশ্যে ছিল সতীশ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ মেটানো ৷ সেখান থেকেই কল্যাণ-বদলাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বিন্দেশ্বর ফিরছিলেন বাড়িতে ৷ তখনই সতীশ পিছু ধাওয়া করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ তবে সতীশকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি ৷